এফএসআইবিলের ত্রৈমাসিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দেশের বেসরকারি ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা অঞ্চলের ত্রৈমাসিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল এই সম্মেলন হয়।
ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা খায়ের, ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশনের প্রধান মো. জহুরুল হক, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. আব্দুর রশিদ, অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল ডিভিশনের প্রধান মো. আলী নাহিদ খান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশনের প্রধান মো. আবুল কালাম আজাদ ও খুলনা অঞ্চলের ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়িক সাফল্যের পর্যালোচনা এবং ২০১৮ সালের পরবর্তী সময়ের জন্য বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৭ মার্চ)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার
১১২ টাকা ১ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো
১২৪ টাকা ২০ পয়সা
ব্রিটেনের পাউন্ড
১৪৩ টাকা ৫০ পয়সা
ভারতীয় রুপি
১ টাকা ২৯ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
২৪ টাকা ২৮ পয়সা
সিঙ্গাপুরের ডলার
৮৪ টাকা ২৮ পয়সা
সৌদি রিয়াল
২৯ টাকা ২৭ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার
৮৩ টাকা ১ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার
৭৪ টাকা ১৬ পয়সা
কুয়েতি দিনার
৩৭০ টাকা ১০ পয়সা
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার দুইশ নয় ডলার। বিশ্ববাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে যা নতুন রেকর্ড। বিশ্ববাসী স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো দেখিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্বাবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।
ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
অবশ্য স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৯ মার্চ)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার
১১৩ টাকা ২৫ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো
১২৪ টাকা
ব্রিটেনের পাউন্ড
১৪৪ টাকা
ভারতীয় রুপি
১ টাকা ২৯ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
২৪ টাকা ২৫ পয়সা
সিঙ্গাপুরের ডলার
৮৪ টাকা ৪০ পয়সা
সৌদি রিয়াল
২৯ টাকা ২৭ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার
৮৩ টাকা ১০ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার
৭৩ টাকা ৮৭ পয়সা
কুয়েতি দিনার
৩৭০ টাকা ২৩ পয়সা
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
এক চার্জে ৯০০ কিলোমিটার চলবে শাওমির গাড়ি
প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি।
চীনের বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’, ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রিঅর্ডার নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিঅর্ডার নেওয়া শুরুর মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যেই ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে শাওমি।
শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলোতে ই-মোটর হাইপারইঞ্জিন ভিএস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে সংস্করণভেদে গাড়িগুলো এক চার্জে ৭০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া মাত্র ২ দশমিক ৭৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিও তুলতে পারে।
শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুন জানান, ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান। ফলে গাড়িটি টেসলার ‘মডেল ৩’ বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় ৩০ হাজার ইউয়ান কমে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের গাড়িগুলোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান ও ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান।
আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ শাওমির ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে পাওয়া যাবে। আর মে মাসের শেষ দিকে মিলবে ‘এসইউ৭ প্রো’ সংস্করণের গাড়ি। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন
স্বর্ণের দামে একের পর এক রেকর্ড
বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। সবশেষ শুক্রবার (২৯ মার্চ) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মূল্যবান এই ধাতু। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চ মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। এখন সেটি বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে মার্চ মাসের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।
এ বিষয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি, তাতে চলতি বছরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। আমরা বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্বাবাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আমাদেরও তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করব। এর কোনো বিকল্প নেই।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সবশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। সেদিন ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। দেশে বর্তমানে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেটি বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।
ঈদের আগে ছুটির মধ্যেও ৩ দিন খোলা থাকবে ব্যাংক
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও ৩ দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা খোলা থাকবে।
রোববার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রফতানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুম্মার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ ২০ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে তা ২৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
রোববার (৩১ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে বিগত ৪ দিনে গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।
অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।