‘ব্যবসা করতে হলে মজুত করতে হবে’
ব্যবসার জন্য মজুত করতে হবে, এজন্য গাইডলাইনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১১ মে) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র নিজস্ব ভবনে ভোজ্যতেল আমদানি, মজুত, সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এ দাবি করেন। সভায় ভোজ্যতেলের কারসাজি নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করেন।
সভার শুরুতে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছি’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য আমাদের ব্যথিত করেছে, ব্যবসায়ীদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
বাজার মনিটরিং কমিটি কোনও কাজ করেনি এমন দাবির জবাবে তিনি বলেন, গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর কারণে আমাদেরকে ঢালাওভাবে অসাধু ব্যবসায়ী বলা হচ্ছে। অথচ তেল পাওয়া যাচ্ছে হাতেগুনা কয়েকজনের কাছে। সামান্য কয়েকজনের জন্য সবাইকে অসাধু বলাটা মেনে নেওয়া যায় না।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, ব্যবসা করতে হলে মজুত করতে হবে। তবে কতটা মজুত করতে পারবো, আর কতটা বিক্রি করতে পারবো তার নির্দিষ্ট একটা গাইডলাইন প্রয়োজন।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক তসলিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দোষারোপ করলে মার্কেট ধ্বংস হয়ে যাবে। দোষারোপ না করে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে, নয়তো কেউই টিকতে পারবো না।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সরকার দুই কোটি লিটার তেল দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, টিসিবি এই তেল বাজার থেকে সংগ্রহ না করে আমদানি করলে ভালো। কারণ টিসিবি বিপুল পরিমাণ এই তেল দেশের বাজার থেকে সংগ্রহ করলে সংকট তৈরি হবে।
এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারে পুরনো নিয়মে কস্টিং ফর্মুলা চলছে, এটা পরিবর্তন করতে না পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ বাজার যত বড় হচ্ছে, নিত্যনতুন সমস্যা এবং সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাই পুরনো নিয়মে পড়ে থাকলে হবে না, নতুন কিছু করতে হবে।
ঈদের আগে তেল না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি। মিল মালিকরা তেল না ছাড়লে তারা ব্যবসা করবেন কীভাবে? খুচরা ব্যবসায়ীদের এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযানে তেল তো বের হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে। যদি তেল মিল মালিকরা না দেয় তবে এত তেল কোথা থেকে পেলেন?
তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আগে ১৮০ জন রিফাইনারি মালিক ছিল, এখন কমে ৭-৮ জনে নেমে এসেছে। মিল মালিকরা তাদের ওয়াদা রক্ষা না করায় আমাদের বেইজ্জত হতে হচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানা করছে, পুলিশ মামলা দিচ্ছে। অথচ মিল মালিকরা আমাদের চাহিদা এবং তাদের ওয়াদা মতো তেল সরবরাহ করছেন না।
মন্তব্য করুন