• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
স্বামীর ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক জেলহাজতে
রংপুরে বিয়ের নামে প্রতারণা করে প্রবাসী স্বামীর দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।  রোববার (১২ মে) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হক অভিযুক্ত স্ত্রী আফসানা সোহেলীর প্রেমিক কলেজ শিক্ষক রায়হানুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর ফরহাদুজ্জামান লন্ডনে চলে গেলে স্ত্রী রংপুর আঞ্চলিক বেতারের ঘোষিকা হিসেবে যোগ দেন। সেখানে খণ্ডকালীন কর্মসূত্রে লালমনিরহাট উত্তর বাংলা কলেজের শিক্ষক রায়হানুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।  এরপর দুজনে পরকীয়া প্রেমে যুক্ত হয়ে প্রবাসী স্বামী ফরহাদুজ্জামানের ব্যবসায়িক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া প্রবাসে থেকে ব্যাংক হিসাবসহ বিকাশের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থ মিলিয়ে সর্বমোট দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তারা।  প্রবাসে থাকাকালীন ফরহাদুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্ত্রী আফসানা তম্পি ও রায়হানুলের পরকীয়া প্রেম এবং তার অর্থ আত্মসাতের কথা জানতে পারেন। পরে তিনি গত ৭ মার্চ দেশে ফিরে ঘটনার সত্যতা পান। তখন স্ত্রীর নিকট টাকার হিসাব চাইলে স্ত্রী তাকে হিসাব দিতে অস্বীকার করেন এবং প্রেমিক রায়হানুল ইসলামকে বিয়ের কথা জানান। এ ঘটনায় স্বামী ফরহাদুজ্জামান স্ত্রী আফসানা সোহেলী তম্পি ও তার প্রেমিক রায়হানুল ইসলামকে আসামি করে গত ১৬ এপ্রিল রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারক এফ এম আহসানুল হক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  রোববার ওই দুই আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত স্ত্রী আফসানা সোহেলী তম্পির জামিন মঞ্জুর করেন। এবং প্রেমিক রায়হানুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর সেনপাড়ার বাসিন্দা এটিএম আসাদুজ্জামানের মেয়ে আফসানা সোহেলী তম্পি ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার তোজাম্মেল হক মণ্ডলের ছেলে লন্ডন প্রবাসী ফরহাদুজ্জামানের ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল। 
রংপুরের কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা মিরাজ গ্রেপ্তার
চিকিৎসার কথা বলে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউতে আগুন
‘রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করা হচ্ছে’
স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া, গৃহবধূর আত্মহত্যা
রংপুরে স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী সাগরকে আটক করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুরের চামড়াপট্টি হাজীপাড়া শাপলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন সাগর। কিন্তু উভয় পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত তাদের। এরই জের ধরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বাসায় মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বৃষ্টি ও স্বামী সাগরের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রাতেই ঘরের ছাদের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্বামী ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বামী সাগরকে আটক করে। এ বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। বৃষ্টির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘দেশের পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার’
দেশের পাহাড়ি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ব্যাংক ডাকাতি, থানায় হামলা, অস্ত্র লুটপাট ও অপহরণের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। রংপুরে সাত দিনের সফরের ১ম দিনে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। সে হিসেবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সুশাসনের অভাব এবং সরকারের জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত হচ্ছে।  জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো দুর্ঘটনা এখন আর কোনো দুর্ঘটনা না এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদাসিনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণে বারবার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, থানায় হামলাসহ সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।  সে সমস্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক মোবাশ্বর হাসানসহ জেলা ও মহানগরের স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ : স্টোর কিপারের ৩ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক স্টোর কিপার হামিদুর রহমান মণ্ডলকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও ৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। এ দিকে আসামি আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামি হায়দার আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা রংপুরের গুড়াতিপাড়া। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিশেষ পিপি হারুন উর রশীদ। তিনি জানান, আসামি হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডল রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত থাকা কালে অবৈধভাবে নিজের ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর নগরীতে তার তিন তলা আলিশান বাড়ি, বেশ কয়েকটি প্লট এবং নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কিনে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ঘটনায় রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন।  পরে তার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এরশাদের ছেলে বললেন, খুব কষ্ট হচ্ছে, মানবেতর জীবনযাপন করছি
অর্থের অভাবে মানবেতর দিন কাটছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় অবস্থিত পৈতৃক বাসভবন পল্লি নিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এরিক। এসময় তার মা বিদিশা এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে না এসে দূরে দাঁড়িয়েছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে এরশাদপুত্র বলেন, আমি একজন এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। আমার নামে বাবার করে যাওয়া ট্রাস্ট থেকে কোনও টাকা পাচ্ছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে আমার মানবেতর দিন কাটছে। ট্রাস্টের টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে আমি চরম অসহায়ত্ব বোধ করছি।  এ সময় এরিক বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে মরহুম বাবা এরশাদের কবর জিয়ারত করার জন্য রংপুরে আসি। জিয়ারতের পর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত পল্লিবন্ধু এরশাদ কোল্ড স্টোরেজে যাই মাকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে গেলে বারী মুন্সি, মুকুল ও তার ছেলে মান্নু আমাকে ও আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাদের কোল্ড স্টোরেজে ঢুকতে দেননি। এমনকি আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই কোল্ড স্টোরেজের মালিক আমি, আমাকে ঢুকতে দেবে না, দেখে নেবে! দুই বছর ধরে কোল্ড স্টোরেজে যে আয় হচ্ছে, সেখান থেকে আমাকে এক পয়সাও দেওয়া হচ্ছে না। সব টাকা তারা লুটেপুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের বোঝা উচিত, আমি এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। তারা আমার মাকেও গালি দিয়েছে, তার অশোভন আচরণ করেছে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে বলেছি, তারা পূর্ণ সহায়তা করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এরিখের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ একমাত্র সন্তান এরিকের কল্যাণের জন্য জন্য তিনি জীবিত থাকা কালে একটি ট্রাস্ট করে যান। যার নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট। রংপুরে পল্লী নিবাস বাস ভবন, নগরীর মাহিগঞ্জে একটি কোল্ড স্টোরেজসহ ঢাকায় কিছু সহায়সম্পদ আছে। এরশাদ যে ট্রাস্টের কমিটি করে গেছেন। তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এখনও দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না। ফলে আয়-উপার্জন না থাকায় এরিখ প্রচণ্ড রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বারবার বলার পরেও ট্রাস্টের দায়িত্ব এরিখকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ ছাড়া এরিখের চাচা জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান তাকে পুরো বিষয় জানানো হবে তিনি কি করেন দেখি। জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের পাল্টাপাল্টি দল করার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু
রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে আলেয়া বেগম (৬০) নামের আরও একজন মারা গেছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  নিহত আলেয়া বেগম নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী। জানা যায়, গত ৮ দিন আগে দগ্ধ হয়ে তিনি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ইনচার্জ ফারুক হোসেন। তিনি জানান, এ নিয়ে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে ১৪ জানুয়ারি মারা যান নগরীর তাজহাট এলাকার নাসরিন বেগম (৩৫) এবং ১৩ জানুয়ারি মারা যান পীরগাছার মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬৫)। এ দিকে শীত নিবারণ করতে গিয়ে পঞ্চগড়ে এ পর্যন্ত ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।