ফরিদপুরে ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক কারাগারে
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে সদরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিক্ষকের নাম মো. মিজানুর রহমান (৩৮)। তিনি সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে স্কুলের ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে সখ্যতা গড়ে তোলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপর ওই শিক্ষক বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সদরপুর উপজেলার পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। অতঃপর ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে গত সোমবার রাতে সদরপুর থানায় ওই শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশ গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। অবশ্য ওই শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা ছাত্রীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষকের মুঠোফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মেডিকেল চেকআপের জন্য ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আগামীকাল বুধবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।
এজে
মন্তব্য করুন