লকডাউন মানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটো গ্যারেজের বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ
লকডাউন মানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অটো ও রিকশা গ্যারেজের বিদুৎতসংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রায় দুইশ গ্যারেজের বিদুৎত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে এতে সুফল আসেনি। শহরে বন্ধ নেই অটো ও রিকশার চলাচল। শহরের আশপাশের গ্রাম থেকে রিকসা-অটো ঢুকছে শহরে। ওদিকে হঠাৎই শহরের গ্যারেজগুলোর বিদুৎত সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। অবশ্য বিকল্প উপায়ে ব্যাটারিচার্জ করে রিকশা চালাচ্ছে তাদের কেউ কেউ। এদিকে এসব যান চলাচল বন্ধ থাকায় বাজার ও দোকানপাটে আসা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের দাতিয়ারার একটি গ্যারেজের মালিক আল আমিন জানান, পুলিশ ও ওয়াপদার লোকজন এসে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এখন যে রিকসাগুলো চলছে সেগুলো শহরের বাইরে থেকে আসা। আর শহরের রিকশাগুলোর মধ্যে দুই একটি বাসাবাড়িতে চার্জ দিয়ে চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সায়ীদ জানান, প্রায় দুই শো গ্যারেজ বন্ধ করা হয়েছে। অটোরিকশাগুলো অবৈধ যান। এগুলো যে গ্যারেজে চার্জ দেয় সেখানকার বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করলে এসব যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে আপাতত লকডাউন মানানোর লক্ষ্যেই আমরা এ পথে এগিয়েছি। কারণ তাদেরকে কোনোভাবেই কন্ট্রোল করা যাচ্ছিল না। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হান্নান বলেন- চার্জিং স্টেশনে বিদ্যুত সংযোগ বৈধ। সরকারি নিয়ম রয়েছে সংযোগ দেয়ার। কিন্তু যানবাহনগুলো অবৈধ। তার এলাকায় প্রায় একশো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিতরন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান তার আওতাধীন এলাকার ৮০টি গ্যারেজের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানিয়ে বলেন আমাদেরগুলো কাটাকাটি শেষ। তবে পল্লী বিদ্যুত এলাকার গ্যারেজগুলো চালু রয়েছে। সেখানে চার্জ দিয়ে এই যানবাহনগুলো শহরে আসে।
এদিকে চারটা পর্যন্ত শহরে দোকানপাট এবং বাজার খোলা থাকায় জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন শহরে আসা যাওয়া করে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনেও মানুষজনের চলাচল রয়েছে। কিন্তু রিকশা ও ঈজিবাইক বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ছেন এই যাত্রীরা। পায়ে হেঁটে চলতে হচ্ছে। রিকসা বা অটো মিললেও ভাড়া গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ।
জেবি
মন্তব্য করুন