• ঢাকা সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কক্সবাজারে মোটেল শৈবাল ঘিরে মাদক চক্র!

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১২ মে ২০২০, ১০:৪৩
মাদক শৈবাল কক্সবাজার
ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারে পর্যটন করপোরেশনের আওতাধীন মোটেল শৈবাল থেকে দেড় টন বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হোটেল শৈবালের কিচেন সংলগ্ন মাটির নিচ থেকে গেল ১০ মে ভোরে ১৩৭৪ লিটার বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর মো. চাঁন মিয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিন ভোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই অভিযান পরিচালনা করেন। উদ্ধারকৃত মদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬৪১ বোতল (৬২৯.৭৫ লিটার) বিলাতি মদ বিভিন্ন ব্রান্ডের বিয়ার মোট ২২৬২ ক্যান (৭৪৬.৪৬ লিটার)সহ সর্বমোট ১৩৭৬.২১ লিটার মদ।

মদ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সৌমেন মণ্ডল। এদের মধ্যে শামীমকে মামলায় আটক করা হয়েছে। ঢাকার বাসিন্দা শামীম মহসীন গেল বছর থেকে শৈবাল বার উপ ভাড়া নিয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, পর্যটন কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন শৈবাল বারে শামীম মহসিন আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ মদের বিশাল মজুদ গড়ে তোলে। তারা এসব মদ হোটেল মোটেল জোনের বৈধ-অবৈধ বিভিন্ন বারে সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের কক্সবাজারসহ ব্যবস্থাপক অপরাপর কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট এসক মাদক মজুদে জড়িত। চোরাইপথে সংগৃহীত এসব মদ বিক্রি করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

এর আগেও ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর মোটেল শৈবাল থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় একটন মদ উদ্ধার করা হয়েছিল। মোটেল ভবনের অদূরে পর্যটন গলফ বার সংলগ্ন সেমিপাকা ঘর থেকে এসব মদ উদ্ধার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।

ঘটনায় বারের সহকারী ম্যানেজার আবদুল আলীমকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে প্রকাশ, মোটেল শৈবাল সংলগ্ন বারে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদেশি মদ মজুদ আছে মর্মে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক শওকত ইসলাম, সহকারী পরিচালক জিল্লুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বাধীন চৌকস ফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।

মোটেল শৈবাল পর্যটন গলফ বার ঘিরে গড়ে উঠা মাদক কারবারী চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না গেলে প্রতিবছর কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার এমনটাই অভিমত সচেতন মহলের।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সোমবার রাতেই কুতুবদিয়ায় ভিড়ছে এমভি আব্দুল্লাহ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত
টেকনাফে ১ লাখের বেশি ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক 
মাদক কেনাবেচায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি
X
Fresh