করোনা ঝুঁকিতে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
আক্রান্ত রোগীর চারজনের মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী। অন্যজন যিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছে তিনিও শনাক্ত হওয়ার পূর্বে অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের কমপ্লেক্সের ভেতরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নেন। যার ফলে রোগীদের না যেনে অবস্থান ও রোগীর সংস্পর্শে আসায় অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাত লাখ লোকের চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
জান যায়, গেল এক সপ্তাহে হাতিয়ায় তিনজন ও অসুস্থতা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পর একজন করোনা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে হাসপাতালের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, একজন ওয়ার্ডবয় ও একজন স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্ডবয়কে প্রথমে করোনা সনাক্ত হয়েছে নিশ্চিত করলে ও পরে তা ভুল হয়েছে বলে তার পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এছাড়া একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি যাওয়ার পর সংবাদ পান যে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরে তার সংস্পর্শে আসা আরও সাত কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠান উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়া হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ভেতরে আবাসিক ভবনে বসবাস করা এক স্বাস্থ্য সহকারী করোনা আক্রান্ত হন। তিনিও শনাক্ত হওয়ার পূর্বে অফিসের কাজে হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় বিচরণ করেন।
এতে অনেকটা ঝুঁকিতে পড়ে হাসপাতালের অনেক কর্মচারী। অন্যদিকে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবক অসুস্থতা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। এর পূর্বে হাতিয়া থাকা অবস্থায় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চেম্বারে চিকিৎসা নিয়ে ছিল। এতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অনেকে ঝুঁকিতে পড়ে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান জানান, হাতিয়ায় প্রথম থেকে ৯ মে পর্যন্ত ১৩৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে, ৭৯ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় শুধু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০জন কর্মচারীর নমুনা পাঠানো হয়েছে ফলাফল এসেছে প্রায় ৩০জনের। নতুন করে এ ৩০ জনের কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ আরও ২০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার অপেক্ষায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন জানান, হাসপাতালের কর্মচারীর মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় দ্রুত সকল কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন