শরীয়তপুরে এক যুবক আইসোলেশনে
৩৪ বছরের এক যুবককে রাখা হয়েছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে সদর হাসপাতালে এলে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আইসোলেশনে রাখা হয়।
ওই যুবকের বাড়ি নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কলারগাঁও গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. এস.এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ।
সিভিল সার্জন বলেন, দুপুরেই আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামীকাল বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে। ফলাফল পাওয়ার পর নিশ্চিত হতে পারবো ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত কি, না?
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ওই যুবক
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে এলে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সফিকুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত) নতুন করে একজন হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় এসেছেন ও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ করায় ১৪ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
জেলায় এই পর্যন্ত সর্বমোট ৬৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্য থেকে ৬৩৬ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। জেলায় ৫০টি আইসোলেশন শয্যা ও ১০০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০ টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ পরিবারের ১৮৯ জনকে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার হাটবাজার লকডাউন করা হয়।
এসএস
মন্তব্য করুন