কক্সবাজারের ৩ রিসোর্টকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ঘোষণা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশের তিন রিসোর্টকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন রিসোর্টগুলো হলো লা বেলা রিসোর্ট, পেবেল স্টোন রিসোর্ট ও রয়েল স্টোন রিসোর্ট। এতে অন্তত ১৫০ জনের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা যাবে।
বিষয়টি উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই তিন বেসরকারি রিসোর্টগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও এলজিইডি সড়কের মধ্যে অবস্থিত রিসোর্ট তিনটিকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এজে
মন্তব্য করুন
বউভাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। এর আগে দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হন। এ নিয়ে নিহত বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাওহার আমিন লাদেনের মৃত্যু হয়।
তিনি বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল ধামানিয়াপাড়া গ্রামে বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন জাওহার আমিন লাদেন, আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে জাওহারসহ তিন ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই আহত হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে তিনজনই মারা যান।
সব রেকর্ড ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।
এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।
চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।
রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হয়।
এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
‘সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় পিউ কর্মকারের বাড়ি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে পিউকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার লিখেছেন, গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিল। জানিনা কবে রেজাল্ট দিবে। পরীক্ষাও মোটামুটি হয়েছিল একটা আশা ছিল কিন্তু আমার ভাগ্য সেই আশাটাও পূরণ করতে দিল না। ৫টা অপশন থাকে তার মধ্যে আমি বায়োলজি আর ইংরেজি এর বৃত্ত ভরাট করে ফেলেছিলাম ভুল করে আজকে সেটা দেখলাম। কিন্তু আমি উত্তর করেছিলাম বাংলার। আমার সব স্বপ্ন শেষ। একে একে ঢাবি, রাবি, জাবি থেকে একটু একটুর জন্য ধাক্কা খাই। জানি এটাও আমার ভাগ্যের জন্য চেষ্টা আমার কম ছিল না। সারাদিন রাত এক করে পড়তাম। বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই। দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমারও স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই যে ডাক্তার হবো। আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল মেডিকেল এডমিশন এর প্রিপারেশন নেওয়াও শুরু করি কিন্তু মেডিকেলেও বসতে পারি না। এটা থেকেও বিশাল একটা ধাক্কা খাই। অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাও হাল ছাড়ি নাই। এই এডমিশন পিরিয়ডটা যে কতটা কষ্ট দিছে আমাকে।
তিনি আরও লিখেন, এই সব আর আমি নিতে পারতেছি না। আমি শুধু একটা আশ্রয় খুজতেছিলাম শেষ আশ্রয় এটাও শেষ হইল। অনেক মানুষ অনেক আত্মীয় এর অনেক কথা শোনা লাগছে। বাবার একটু ফিনানসিয়াল সমস্যা ছিল এ জন্য ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে কেন। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম যে পারব। কিন্তু আমি আর পারলাম না। সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কতো ফ্রেন্ড কত কিছু কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই। সব থেকে প্রয়োজন ছিল যাকে, যাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতাম তাকেও আমি আমার পাশে পাই নাই। হইত আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা আমার হইতো না। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশন নেওয়ারও আমার কোনো মানসিক বা শারিরীক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো।
সুইসাইড নোটে লিখেছেন, মায়ের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যে কাঁদতাম মাও বুঝে নাই আমাকে। আমি একটা বোঝা সবার কাছে। আমার মৃত্যর জন্য আমার এই বড় বড় স্বপ্ন গুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা, মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুঁজো। আমার মৃত্যুটা এভাবেও চাই নাই ভালো থাইকো সবাই। আমি আমার এই জীবনটা আর নিতে পারছি না। আমারে মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দম বন্ধ করে বাচতে পারতেছি না আর।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।
তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ছাত্রলীগ নেতাকে বেদম পিটুনি, ভিডিও ভাইরাল
কক্সবাজার টেকনাফ হ্নীলা এলাকায় ফেসবুকে ছবির পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় টেকনাফ হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীন হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওই ঘটনার ভিডিও মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম আওয়ামী লীগকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে তার পোস্টে কমেন্ট করে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। এরপর তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। আমি সেটি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। সেদিন আমার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। আমি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে পৌঁছানো মাত্র ছাত্রদলের ১০-২০ জন নেতাকর্মী আমার গতিরোধ করে মারধর শুরু করেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় একজনও এগিয়ে আসেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার চেয়ে জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। ঘটনা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ সময় অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনী বলেন, আমি শুনেছি ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাতেই যে বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, একই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমবে।
বুধবার (১ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. নূরুল করিম বলেন, আজ রাত থেকে আগামীকাল দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ কমে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রশমিত হতে পারে।
তিনি বলেন, আজ বুধবার চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ সারাদেশে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।