• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জুয়া খেলতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা সরিয়েছেন ক্যাশ ইনচার্জ

স্টাফ রিপোর্টার (রাজশাহী), আরটিভি অনলাইন

  ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:১৩
জুয়া খেলতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা সরিয়েছেন ক্যাশ ইনচার্জ
অভিযুক্ত ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সাল

অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে জুয়া খেলতে প্রিমিয়ার ব্যাংক রাজশাহী শাখার ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নিয়েছেন ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সাল। বিষয়টি জানাজানি হলে মামলা দায়েরের পর পুলিশ রিমান্ডে একথা স্বীকার করেছেন ফয়সাল। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক রাজশাহী শাখার ভল্টে সব সময় প্রায় ১৫ কোটি টাকা থাকতো। গত বৃহস্পতিবার সব টাকা গণনার পর ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম পাওয়া যায়। এ সময় ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে টাকা সরানোর কথা স্বীকার করেন ফয়সাল। পরে টাকা ফেরত না দেওয়ায় ফয়সালকে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করে ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান এবং তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এই টাকা ব্যাংক থেকে আত্মসাতের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়সাল। তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফয়সাল স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-২ এ হাজির করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। বিকেল পৌনে ৪টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত বিচারক মো. সাদেকীন হাবীব বাপ্পী ১৬৪ ধারায় ফায়সালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানান বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, গত দুই বছর ধরে ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সাল টাকাগুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকেন। টাকা রাখার ভল্টের সামনের লাইন ঠিক রেখে পেছনের লাইন থেকে তিনি টাকাগুলো সরাতেন। সেই সঙ্গে কাগজে টাকার হিসেব ঠিক রাখতেন। এতে করে ব্যাংকের কোনও কর্মকর্তার সন্দেহ হতো না। আর এই টাকায় তিনি অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন খেলা নিয়ে জুয়া খেলতেন। এতে কখনো কখনো জিতলেও প্রায়ই হারতেন। এভাবেই টাকাগুলো তিনি জুয়ায় হেরেছেন।

এদিকে, টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে এরইমধ্যে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত দল রাজশাহীতে এসে পৌঁছেছে। তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম জানান, এই টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফয়সাল একাই নাকি ব্যাংকের আরও কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ভোল্টে টাকা সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় অন্তত দুই জন কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকে। এক্ষেত্রে কী হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেলায় জুয়ার আসর বসানোকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্র খুন, গ্রেপ্তার ১
জুয়ার বিজ্ঞাপনে দেশের সব তারকাকে ছাড়িয়ে সাকিব
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
জুয়ার ওয়েবসাইটের বিষয়ে তথ্য জানতে ডিসিদের চিঠি
X
Fresh