বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ
মানিকগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে রাতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ ওই কিশোরীকে শুক্রবার মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়ার-আসার পথে ওই কিশোরীকে (১৪) উত্যক্ত করতো সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের জাভেদ হোসেন (২৬)। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে করার কথা বলে জাভেদ ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকায় নিয়ে যান। এরপর কিশোরীকে একটি বাড়িতে রাতে আটরে রেখে ধর্ষণের পর তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যান। শুক্রবার দুপুরে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকা থেকে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পঞ্চমতলায় মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই কিশোরীকে।
এ সময় কিশোরীর মা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর থেকে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মেয়ে ফোন করে ঘটনাটি জানান। এর পর বেলা ১২টার দিকে বানিয়াজুরী এলাকায় মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে জাভেদ ধর্ষণ করে। এরপর মেয়ের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে জাভেদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পি
মন্তব্য করুন