চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের বাসা তল্লাশি করে চেক জব্দ
চট্টগ্রাম নগরীতে একটি প্রতারক চক্রের বাসা তল্লাশি করে ৭৩ টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেকের ফটোকপি, ২১ টি বিভিন্ন ব্যাংকের ফেব্রিকেটেড চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ১৪ টি বিভিন্ন ব্যাংকের ফাঁকা চেক, ১৪ টি বিভিন্ন ব্যাংকের ফাঁকা চেকের ফটোকপি, ২১৩ পেজ ফেক ইনডেনচার, ৩২ পেজ ফাঁকা স্ট্যাম্প, নয়টি লেজার বই, একটি ডিপোজিট বই মামলার নথির বিশাল পরিমাণ এবং পাঁচটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের হামজা খাঁ লেনের গাউসিয়া আবাসিক এলাকায় ফাতেমা মঞ্জিলে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ ও আটক করা হয়েছে বলে আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান , গেল ১৩ অক্টোবর নাজমা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে, প্রতারক চক্রের তিনজন সদস্য কাজী প্রিয়া আক্তার মুক্ত (৪৪), জহিরুল হক মৃধা (৪১) ও রেজাউল করিম (৪৩) মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা এলাকার সরলমনা মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ছোটখাট লেনদেন করে প্রথমে স্বল্পমূল্য মানের চেক হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চেকগুলো ফিরিয়ে দিয়ে বিশ্বাস জমিয়ে স্বাক্ষরযুক্ত অলিখিত চেক গ্রহণ করে এবং চড়া সুদে টাকা ধার দেয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি অভিযানিক দল প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়। তারই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ এর একটি চৌকস অভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হামজা খা লেন গাউছিয়া আবাসিক এলাকার ১১১৭ ফাতেমা মঞ্জিল তৃতীয় তলার ডান পাশের কাজী প্রিয়া আক্তার মুক্তার ভাড়া বাসায় অভিযান অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামি কাজী প্রিয়া আক্তার মুক্তা, মো. জহুরুল হক মৃধা ও মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চেকগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন