সিলেটে আরটিভি ও ডেটল হারপিকের উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক মানববন্ধন (ভিডিও)
আরটিভি ও ডেটল হারপিক পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘জমা পানির ক্ষমা নাই’ স্লোগান নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিলেটে সচেতনতামূলক মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সব শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসময়, বক্তারা বলেন, নিজ নিজ বাড়ি-ঘর সব সময় পরিস্কার রাখলে এডিস মশা জন্মাবে না। ফলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পাবে বাংলাদেশ। ছাদে বা বাড়ির আশপাশে যাতে কোনও ভাবেই পানি জমতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
এসএস
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন, মা-ছেলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৫ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গোরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার শিশু সন্তান হানিফ (৮)।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে বজ্রপাতে নিহতদের ঘরে আগুন লাগে। ঘরটিও সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। নিহত দুইজনই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে থাকা আরেক শিশু হাফিজুর রহমান (১০) বাথরুমে গেলে বেঁচে যার।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ এমনভাবে পুড়েছে যা চেনারও কোনো উপায় নেই।
সাকিবকে এক নজর দেখতে গিয়ে ঝলসে গেল স্কুলছাত্র
জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নীরব (১৩) নামের এক স্কুলছাত্র ঝলসে গেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেলে চৌদ্দগ্রামে ধোড়করা বাজারে হারলান একটি কসমেটিকসের শো-রুম উদ্বোধন করেন সাকিব আল হাসান। তাকে এক নজর দেখতে স্কুলছাত্র নীরব স্থানীয় মালেক টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ওঠে। এ সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নীরবকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার রবিউল হক বলেন, নীরবের বুকের ডান পাশে প্রায় ৪০ শতাংশ ঝলসে গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়েছি। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আসার আগে উৎসুক জনতার সঙ্গে নীরব নামে এই স্কুলছাত্রটি একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার চেষ্টা করছিল। এ সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সে ঝলসে যায়। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ ঝলসে গেছে।
‘আমারে মাটি দিব ছেলে, এহন আমারেই দিতে হইবো মাটি’
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ রিফাত নিহত হয়েছেন। মানিকগঞ্জে নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা আক্তার খানম। তার আহাজারিতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাকে কোনোভাবে সামাল দিতে পারছেন না প্রতিবেশী আত্মীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) মানিকগঞ্জে শহরের পশ্চিম দাশড়ায় জাওয়াদ রিফাতের বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা যায়।
জাওয়াদ রিফাতের মা নিলুফা আক্তার কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন। আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই এটা কেমন কথা। আমারে মাটি দিব আমার ছেলে। আর এহন আমারে দিতে হইবো তাকে মাটি।’
জানা গেছে, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফা আক্তার খানম ও চিকিৎসক আমানুল্লাহর একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ রিফাত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা।
নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিল জাওয়াদ। স্কুল ও কলেজজীবনে সব সময় প্রথম হয়েছে। ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিল। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে।’ আগামীকাল শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।
জাওয়াদের খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করে ২০১১ সালে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন জাওয়াদ। তার ছয় বছরের এক কন্যাসন্তান ও এক বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান রয়েছে। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তারা।
নিখোঁজ যুবককে পাওয়া গেল মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিম (৪০)। রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, ভাইকে নিয়ে আসার সময় ফাউন্ডেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে। বাড়িতে আনার পর ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে তারা সন্দেহ করছেন, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।
স্বজনদের অভিযোগ, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রয়কেন্দ্রে সেলিমকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তার কিডনি বের করে নেওয়া হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষজন সেলিমের বাড়িতে জড়ো হন। লাল কাপড় পরিহিত কাউকে দেখলেই ভয়ে আঁতকে উঠছেন সেলিম। ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না। কোমরের দুপাশে কাটাছেঁড়ার দাগ। এখনো শুকায়নি সেই দাগগুলো।
সেলিমের মা রাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, কিন্তু তার শরীরে কোনো দাগ ছিল না। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে নির্যাতনের পর তার কোমরের দু’পাশে কাটাছেঁড়া করে কিডনি খুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। পাগল হলেও তিনি আমার স্বামী। এখন তার যে অবস্থা করেছে, মনে হয় আমার মেয়েরা এতিম হবে। আমি বিধবা হয়ে যাব।’
সেলিমের চাচাতো ভাই আবদুর রশিদ বলেন, ‘সেলিমের অবস্থা খুব খারাপ। তার পেটের নাভির নিচে কাটা দাগ রয়েছে। তার শরীরে পানি জমে গেছে। তাকে চিকিৎসা করাতে ময়মনসিংহের চরপাড়া নগরীর একটি ক্লিনিকে নিয়ে আসছি। এখান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাব।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে তার চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষার করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে ঘটনাটা কী।
কিডনি ঠিক আছে মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ার হোম থেকে উদ্ধার সেলিমের
আলোচিত ও সমালোচিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার হোম থেকে উদ্ধার হওয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো: সেলিম মিয়ার (৪৫) দুটি কিডনিই ঠিক আছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক।
শনিবার (১১ মে) রাতে নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ।
তিনি বলেছেন, রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তার শরীরে কোনো অস্ত্রোপচার করা হয়নি। দুটি কিডনিই ঠিক রয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় কিডনি থাকে সে যায়গায় ক্ষত থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে আটকে রাখার জন্য কোনো কিছু দিয়ে বেঁধে রাখা বা বেল্ট পরিয়ে রাখার কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সেলিমের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, সেলিমকে উদ্ধারের পর পেটে কাটা দেখে সন্দেহ হয় কিডনি খুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। ডাক্তার জানিয়েছে, সেলিমের দুটি কিডনিই ঠিক আছে। তবে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আপাতত ভর্তি না করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোববার সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে চিকিৎসার জন্য।
গত ৭ মে ঢাকার সাভারে অবস্থিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার হোম থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের দরিদ্র হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেলিমের খোঁজ পায় তার পরিবার। এরপর গত ৭ মে সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে গিয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেলিমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সেলিমের পেটে ক্ষত চিহ্নিত দেখে পরিবার ও স্থানীয়রা তার কিডনি কেটে নেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও আহত শিশুর পরিচয় মিলেছে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে।
শনিবার (১১ মে) রাত ১১টায় ভালুকা হাইওয়ে থানা পুলিশের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ওই মায়ের নাম জায়েদা (৩২)। তিনি সিলেট সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। বেঁচে যাওয়া দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম জাহিদ হোসেন।
তিনি জানান, কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে নিহত জায়েদার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ফারুক স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের ছেলে। ফরুকের ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। যে কারণে জায়েদার বিয়ে মেনে নেয়নি ফরুকের পরিবার। ফলে জায়েদার সঙ্গে তার স্বামীর যোগাযোগ না থাকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার দিন রাতে তিনি রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহত জায়েদার বড় ভাই মো. রবিন মিয়া বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জায়েদার মৃত্যুর খবর পাই আমরা। থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ নিতে আসবো। আমার বোনের দেড় বছর বয়সি শিশু ছেলের নাম মো. জাহিদ হোসেন।
এর আগে গত ৯ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় শিশুটিকে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন মা জায়েদা। এতে শিশুটি বেঁচে গেলেও তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। বতর্মানে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ওই শিশু ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পরে-৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান মা মারা যান। তবে সেখানে আহত শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে অবুঝ শিশুটি কান্নাকাটি করছে। তবে আমরা তার চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করছি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত শিশুর খোঁজখবর নিচ্ছি। আল্লাহর রহমতে শিশুটি সুস্থ আছে। ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মীরা তার দেখভাল করছেন।
এসএসসিতে ফেল, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১২ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের কালিতারা বাজার-সংলগ্ন আলী আজম বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
একই দিন রাতে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত তানজিনা আক্তার ঝুমি (১৬) নোয়াখালী পৌরসভার সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের মেয়ে। তিনি স্থানীয় কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ বলেন, রোববার বেলা ১১টার দিকে তানজিনার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তানজিনা গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বসত ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই সময় তার মা রান্না ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি ঘরে এসে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।