প্রচণ্ড শীতে কাজে যেতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ
শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। গেল তিন দিন ধরে নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রা।
বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। গেল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল মঙ্গলবার তা নেমে দাঁড়ায় আট দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজও (বুধবার) বিদ্যমান রয়েছে।
গেল সপ্তাহে কুয়াশা না থাকলেও এখন ঘন হচ্ছে কুয়াশার চাদর। কুয়াশা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। বিকেল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র ঠাণ্ডা।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
এখন হরহামেশা চোখে পড়ছে গ্রামাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের খরকুটু জ্বালিয়ে নিজেদের শীত নিবারণের দৃশ্য।
শীতের কারণে কমে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের কাজ। সময়মতো তারা কাজে যোগ দিতে পারছে না। সোনাহাট স্থলবন্দরের পাথর ভাঙা শ্রমিক বাবু, খয়বর, সাইফুল, নিরঞ্জন আরটিভি অনলাইনকে জানান, সকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং কুয়াশা থাকায় তারা সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না। প্রতিদিন আটটায় কাজে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন নয়টায় যোগ দিতে হচ্ছে। ফলে আয় কমে গেছে তাদের।
কেদার ইউনিয়নের দিনমজুর আহম্মদ আলী জানান, শীতের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।
শীতের কারণে কাজ না থাকায় বেকার সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকরা। দুধকুমর নদীর চরাঞ্চল শৌলমারী গ্রামের বাসিন্দা মালেক মিয়া জানান, শীতের কারণে তাদের খুব কষ্ট বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও বিপদে আছেন তারা।
ভূরুঙ্গামারীর কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, শীতের কারণে আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে প্রায় ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আরও শীত বস্ত্রের চাহিদা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।
জেবি
মন্তব্য করুন