গণধোলাইয়ের হাত থেকে বেঁচে গেল দুই পুলিশ!
গণধোলাইয়ের হাত থেকে বেঁচে গেল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার দুই পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাইর উপজেলার ছোট কালিয়কৈর বাজার এলাকায় ইয়াবা দিয়ে হাসেম আলী নামের এক দিনমজুরকে ফাঁসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে গেলে ওই গ্রামবাসী ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ফেলে। দুই ঘণ্টা আটক থাকার পর থানা থেকে পুলিশ যেয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : নিখোঁজের ৫ দিন পর দুই স্কুলছাত্র উদ্ধার
--------------------------------------------------------
এলাকাবাসীর অভিযোগ সিঙ্গাইর থানার এসআই মানিক এবং কনস্টেবল জাহিদ একটি মোটরসাইকেল করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বলধরা ইউনিয়নের ছোট কালিয়াকৈর নতুন বাজার এলাকায় যায়। ওই বাজারের কহিনুর ইসলামের কসমেটিকের দোকানের সামনে থেকে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পড়া দিনমজুর হাসেম আলীকে ধরে তার পকেটে দুটি ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তাকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে দেয়।এই ঘটনায় উপস্থিত এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ করে এবং একপর্যায়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রায় দুই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে। উত্তেজিত জনতা তাদেরকে মারধর করতে উদ্যত হলে স্থানীয় বলধরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলীসহ কয়েকজন বাধা দেয়।
খবর পয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনার পর তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার কতিপয় পুলিশের সোর্স পুলিশের সঙ্গে পরস্পরের যোগসাজশে নিরীহ লোকদের মাদকের মামলায় আটক করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আর এই টাকার ভাগ পায় ওই পুলিশের সোর্স।
২২ বছর বয়সী দিনমজুর হাসেম আলী জানান, তিনি সন্ধ্যায় ওই বাজারে গিয়েছিলেন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার জন্য। ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। হঠাৎ করে ওই দুই লোক এসে তার লুঙ্গি এবং শার্ট ধরে টানাটানি করে। এরপর তার পকেটে জোর করে কি যেন ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তারা বলে পকেটে দুটি ইয়াবা পাওয়া গেছে।তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনা দেখে এলাকাবাসীও এর প্রতিবাদ করেন।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটক ব্যক্তি একজন ভালো লোক।পুলিশকে তার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন