মৌলভীবাজারে বন্যার অবনতি, চার খাদ্য গুদামে পানি
মৌলভীবাজারে বারইকোনা এলাকায় মনু নদীর ভাঙনের ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দোকান পাট-বাসাবাড়ীতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া চারটি সরকারি খাদ্য গোদামে পানি প্রবেশ করায় মজুদ খাদ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিম্নাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। শহরের সাথে সিলেট ও চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ রয়েছে। আরও ত্রাণ বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে- মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। যদিও মনু নদীর পানি কমে চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৪ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২দিন ধরে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝঁকিপূর্ণ স্থানে বালুর বস্থা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করে শেষ রক্ষা হলো না। শনিবার মধ্য রাতে বারইকোনা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে শহরের তিনটি ওয়ার্ড পানি প্রবেশ করে। বাড়ি ঘরসহ দুই শতাধিক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে বাড়ি ঘড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে উঠেছেন। এছাড়া চারটি সরকারি খাদ্য গোদামে পানি প্রবেশ করায় মজুদ খাদ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দূভোর্গে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গত কয়েক দিনে মনু ও ধলাই নদীতে মোট ২০টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ২৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ৪৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই নিয়েছেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলি জমি। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ। চরম দুভোগে পড়েছেন বন্যার্তরা
এদিকে এরইমধ্যে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল দুর্গত এলাকা থেকে পানিবন্দি মানুষ উদ্ধারে সহযোগিতা করছে।
জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন থেকে দুর্গত এলাকায় ১২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে। আরও ত্রাণ বরাদ্দের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন