সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করেও বিষমুক্ত আম পাওয়া যাচ্ছে না
বিষমুক্ত আম পেতে জাতভিত্তিক সংগ্রহ সময় নির্ধারণ করেছিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। তবু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বিষমুক্ত আম পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসন ১৮ মে বোম্বাই ও গুটি, ২৮ মে হিমসাগর, ৫ জুন ল্যাংড়া, ২০ জুন ফজলি এবং ১০ জুলাই আমরুপালি জাতের আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর আখতারুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ে আম সংগ্রহ করলে বিষ দিয়ে পাকানোর প্রয়োজন পড়বে না।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, গত ১৮ মে থেকে বোম্বাই ও গুটি জাতের আম সংগ্রহের সময় শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত সময়ের আগেই বেশি দামের আশায় হিমসাগর আম সংগ্রহ শুরু করেছে।
জানা গেছে, অপরিপক্ব এসব আম পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক। স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীটনাশক দিয়ে পাকানো এসব আম পাঠানো হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়।
আযান গ্রামের আম বাগান মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মতোই আমরা আম সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। এসব আম দেখতে বিষ দিয়ে পাকানো আমের মতো আকর্ষণীয় হয় না।
তিনি বলেন, ক্রেতা দেখতে আকর্ষণীয় আম কেনে। তারা বিষমুক্ত আম বাজারজাত করেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।
কয়েকজন ভোক্তা জানান, বাজারে স্বল্প পরিমাণে আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিষমুক্ত কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আম বাগান ও বাজার মনিটরিং জোরদার না করা হলে বিষমুক্ত আমের প্রত্যাশা করা যাবে না।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বলেন, বিষমুক্ত আম বাজারজাত করার বিষয়ে কোনো প্রকার ছাড় নেই। ইতোমধ্যে বাগান ও আড়তে নজরদারি শুরু হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমও প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত বছর যেভাবে অপরিপক্ব আম ধ্বংস করা হয়েছিল, এবারও তার ব্যত্যয় হবে না বলে জানান তিনি।
কে/ এমকে
মন্তব্য করুন