• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঝুঁকিপূর্ণ নয় সকল কেন্দ্রই নজরের মধ্যে থাকবে: রিটার্নিং কর্মকর্তা

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৪ মে ২০১৮, ২০:২০

রাত পোহালেই খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। সিটি করপোরেশন পরিচালনায় প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রস্তুত এলাকাবাসীও।

নির্বাচন কমিশন খুলনাতে ৮১ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলছেন শঙ্কার কিছু নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ আসলে না আমরা গুরুত্বপূর্ণ আর সাধারণ ক্যাটাগরি করি। এবারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রর সংখ্যা ২৩৪টি। ওইসব কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মানে ২৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২২ জন করে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ আর সাধারণ কোনটাই আমরা ছোট করে দেখছি না। সব কেন্দ্রেই আমরা সমান নজরদারী রাখবো।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে র‌্যাবের ৩২ দল
--------------------------------------------------------

তিনি আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করবো। কোনো মহল যেন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করতে পানে সেজন্য আমরা সজাগ আছি। নির্বাচন কমিশনের একটি পর্যবেক্ষক টিমও এখানে কাজ করছে, তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে পরিষ্কার নির্দেশনা, নির্বাচনের আগের রাতে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তাহলে আমারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আগামীকাল মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির পরস্পর বিরোধী অবস্থান ও প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনীতিতে। কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দলের পক্ষ থেকে কমিশনে গিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ নিয়ে। অন্যদিকে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান ও তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি নিয়ে। তারা অভিযোগ করেছে পুলিশি হুমকির মুখে তাদের পোলিং এজেন্টরা দায়িত্ব পালনে ভয় পাচ্ছেন।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে জানান।তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সকাল থেকে জনতা আনন্দ-উৎসবের মধ্যে ভোট দেবে। বিএনপি প্রার্থী ভোট বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। মঞ্জু অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করতে চান। জনতা এ ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।

অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন সরকার খুলনা সিটিতে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করছে। পুলিশের নেতৃত্বে রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরার ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকে খোদ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। মঞ্জু নিজের জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশের পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা), সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) এবং জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল)।

সিটির ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং ১০টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৫৬১টি। নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, কেন্দ্রে থাকবে পানি ও চিকিৎসা ব্যবস্থা
কেন্দ্রে ভোট দিতেন না উত্তম কুমার, মহানায়কের জন্য ছিল যে ব্যবস্থা
গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ১২ হাজার ৩৪১ জন 
নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
X
Fresh