• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাওরাঞ্চলে ৪-৭ মে ভারি বৃষ্টি, বন্যার আশঙ্কা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ মে ২০১৮, ১৮:০৪

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, হাওরাঞ্চলে আগামী ৪ থেকে ৭ মে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। গত বছর এপ্রিল মাসে আকস্মিক আগাম বন্যায় হাওরে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। সেজন্য এবার আমরা বিষয়টি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশে বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে, এর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। আমাদের মূল দৃষ্টি হাওরের দিকে, যেখানে এখনও ফসল কাটা সম্পন্ন হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের একটি ম্যাপ আবহাওয়া অধিদপ্তর তৈরি করেছে। এই ম্যাপ অনুযায়ী ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে ৪, ৫, ৬, ৭ মে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ম্যান্ডেট হলো ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানানো। আমরা জানালাম।’

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সামনে নির্বাচন, গুরুত্ব পাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা
--------------------------------------------------------

তিনি বলেন, ‘এ থেকে আমাদের একটি আশঙ্কা হলো, ভারি বর্ষণের কারণে সেখানে আকস্মিক বন্যা হতে পারে। বন্যার বিষয়টি বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র দেখে থাকে। আমরা বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও দেশের জনসাধারণ ও সব সংস্থার জন্য এই পূর্বাভাসটি জানালাম। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে পাবেন। আমি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোনে বিষয়গুলো জানিয়ে দিই।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘ভারি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি অত্যন্ত ভালো। গত দুই মাস থেকে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। তারপরও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা শোনার পর আমরা আজকে এখানে সবাই সমবেত হয়েছি। আমাদের আগাম প্রস্তুতি প্রায় শেষ। যদি কোথাও দুর্যোগ হয় তখন সেখানে কী করণীয়, দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে তুলে আনা, খাবারে ব্যবস্থা করা, এরপর তাদের পুনর্বাসন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া।’

ত্রাণমন্ত্রী আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির কারণে হাওরে ইতোমধ্যে ৮৮ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে নতুন দুর্যোগ হয়ে দেখা দিয়েছে শিলাবৃষ্টি। এবার উত্তরবঙ্গে ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের শিলাও পড়েছে। এবার শিলা বৃষ্টিতেও ৫ থেকে ৭ জন লোক মারা গেছে। নতুন নতুন দুর্যোগের সম্মুখিন হচ্ছি। এ জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতিও আছে। আগে ১৫ থেকে ১৬টি জেলায় দুর্যোগ হতো। এখন ৩৭টি জেলা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হয়।’

গত বছর পাহাড় ধসে পার্বত্য এলাকায় ১৬৬ জন লোকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এ বছর পাহাড় ধস মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এপ্রিল মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পার্বত্য ৩ জেলা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-এই ৫ জেলার ৩৫টি উপজেলায় র‌্যালি, কর্মশালা ও জেলা-উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে।’

পাহাড়ে আশ্রয় নেয়া ৫০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের ২ লাখ লোক পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ২৫ হাজার পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশা করি রোজার আগে তাদের সবাইকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হব।’

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ-উল আলম মণ্ডল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিলেটে ঝুম বৃষ্টি, স্বস্তি ফিরল নগরে 
প্রতীক্ষিত সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
এক বিভাগে টানা ৩ দিন ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা
ঝড়ের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
X
Fresh