যৌন নিপীড়নের অভিযোগে চট্টগ্রামে ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সেন্ট স্কলাসটিকা বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক রকিব উদ্দিন (৩৫) ও সুরজিত পালের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত রাকিব উদ্দিন চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান শিক্ষক এবং সুরজিত পাল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক।
ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ, ২০২৩ সাল থেকে তার মেয়ের ওপর স্কুলে যৌন নিপীড়ন চলছিল। সর্বশেষ গত রোববার টিফিনের সময় সে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে জানিয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) অতনু চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ভুক্তভোগীর মা শিক্ষকদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করবে। শিক্ষার্থীর মা অভিযোগের সঙ্গে কিছু স্ক্রিনশটও জমা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুও আলাদা করতে পারেনি দুই বন্ধুকে
ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছেন দুই বন্ধু। চাকরিও নিয়েছিলেন একই এলাকায়। সাপ্তাহিক ছুটিতে আড্ডায় ও গল্পে সময় কাটাতেন তারা। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই বন্ধু শাহাদাত হোসেনের (১৮) বাসায় চলে আসেন ইসমাইল হোসেন (১৮)। তবে এটিই যে ২ বন্ধুর একসঙ্গে কাটানো শেষ সময় হবে, তা তারা কল্পনাও করেননি।
জানা যায়, শাহাদাত চাকরি করতেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদীয়া প্লাজার আজওয়ার টেলিকমে। ওই ভবনের পঞ্চমতলায় বাসা তার। ইকবালের চাকরি পাশের বিনিময় টাওয়ারে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে লাগা আগুনের ধোঁয়ায় দম আটকে একসঙ্গে মারা যান দুই বন্ধু। রিয়াজউদ্দিন বাজারের রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদীয়া প্লাজার মধ্যবর্তী অংশে একটি দোকানে আগুন লাগে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। মোহাম্মদীয়া প্লাজার পঞ্চমতলার বাসাতে ছিলেন শাহাদাত ও ইসমাইল। ধোঁয়ার কারণে বের হতে পারেননি কেউ।
শাহাদাত ও ইসমাইলের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কুতুবপাড়া গ্রামে। একই গ্রামে তারা একসঙ্গে বড় হয়েছেন। দুই বছর আগে দুজনের কর্মজীবনও একসঙ্গে শুরু হয়। পৃথিবী থেকে বিদায়ও নিলেন একই সঙ্গে। তাদের দাফন করা হয়েছে একই কবরস্থানে পাশাপাশি।
ওই আগুনে মো. রিদুয়ান (৪৫) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মেরিনা পারভিন (৩৫) ও তার মেয়ে জান্নাতুল আক্তার (৯) আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শাহাদাতের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার মা খুরশিদা আক্তার বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলে হারিয়ে তিনি দিশেহারা। একই অবস্থা ইসমাইলের বাড়িতেও। তার বাবা সৈয়দ আহমদ অশ্রুসিক্ত অবস্থায় নির্বিকার বসে আছেন। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। দুই বন্ধুর বাড়ির পাশেই স্থানীয় জামে মসজিদ ও কবরস্থান। ওই কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, রাত দেড়টার দিকে রিয়াজউদ্দিন বাজারের রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদীয়া প্লাজায় আগুন লাগার খবর পেয়ে নগরের নন্দনকানন, চন্দনপুরা, আগ্রাবাদ ও লামার বাজার ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, মোহাম্মদীয়া প্লাজার ব্রাদার্স টেলিকম নামের দোকানে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগলেও ধোঁয়া দ্রুত পাঁচতলায় উঠে যায়। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ গেছে তিনজনের। তারা সবাই বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাজ করতেন। মার্কেটের পাঁচতলায় মূলত তারা ভাড়া থাকতেন।
‘তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথা থেকে এলে?’
দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি এখন এলে কোথায় থেকে?
বুধবার (২৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।
পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত পারস্পরিক আলোচনায় উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ ‘দাফন করা’ রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আৎকে উঠেন সবাই। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশেপাশের উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাকে একবাক্যে জিজ্ঞেস করে, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন সে বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উল্টো এখন রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছে, আমাকে ভেবে তোমরা কোন নারীকে দাফন করেছ, কি তার পরিচয়?
ফিরে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বুধবার বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে আসলাম।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তার স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখব-আসলে কি ঘটেছে।
গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৪) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক (কাঁচা বাজার) এলাকার নিজ বাসার চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভিকটিমের মা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক (কাঁচা বাজার) এলাকার মৃত অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের ছেলে।
ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা এবং তার বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সে তার বাবা-মার সঙ্গে শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে ওই চিকিৎসকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
থানায় দায়েরকৃত মামলায় জানা যায়, গত ২১ জুন সকাল সড়ে ৬টায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান তার বাসার গৃহকর্মীকে নিজ চেম্বারে নিয়ে পূর্বের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা সখিনা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে আসামির বাড়ি হতে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।
ভিকটিমের মা জানান, গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে তার বাসায় কাজ করার জন্য বলে। পরে আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে তার বাসায় মেয়েকে কাজ করার জন্য দিয়ে আসি। কয়েকদিন পর আসামি আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসার চেম্বারে একাধিকবার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে চিকিৎসকের বাসা থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরই অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। শনিবার (২৯ জুন) সকালে আমার এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পেয়ে ফোন করে জানায়। পরে আমি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে রাতেই তার বাসার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
টাকা দিতে না পেরে পেট্রোল পাম্পে প্রেমিকাকে বন্ধক
ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল নিয়ে টাকা দিতে না পেরে প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পালিয়েছেন বাগেরহাটের রামপালে নাজমুল ইসলাম সজিব নামের এক যুবক।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় প্রেমিকের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সজিব উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার (২৬ জুন) স্কুলে যায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী। ওই দিন দুপুরে প্রেমিক নাজমুল ইসলাম সজিবের সঙ্গে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বেড়াতে যান। এরপর তারা ভাগা বাজার এলাকায় আসলে মোটরসাইকেলের জ্বালানি শেষে হয়ে গেলে সজীব স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেন। কিন্তু টাকা না থাকায় প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে টাকা আনার কথা বলে চলে আসেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা স্কুলে খোঁজ নেন। পরে খুঁজতে গিয়ে ফিলিং স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কিশোরীর বাবাকে মারধর করে সজিবের পরিবার। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম সজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা
রোগে শারীরিক পীড়া সহ্য করতে না পেরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ইয়াদ আলী (৭২) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার হাটখোলা এলাকায় তার নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার ইয়াদ আলী কামারখন্দ থানায় চাকরি করার সুবাদে কহিনুর বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর কামারখন্দ হাটখোলা এলাকায় নিজস্ব বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থতা ছিলেন।
ইয়াদ আলীর ছেলে ওমর ফারুক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা ও শারীরিক পীড়া সহ্য করতে না পেরে এর আগেও বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। রোববার সকালে সবাই নিজের কাজে ছিল, এসময় ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস নিয়ে তিনি আত্নহত্যা করেরেছেন।’
কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ছেলের চিৎকার শুনে বাঁচাতে গেলেন বাবা, প্রাণ গেল দুজনেরই
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবু তাহের (৫৫) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৮) মারা গেছেন।
রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুনলাল মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, সন্ধ্যায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বোর্ডের কাজ করার সময় ছেলে রাসেল মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ওই সময় তার চিৎকার শুনে বাবা আবু তাহের তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসেন। পরে বাবা-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সোমবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিডেট।
এতে বলা হয়েছে, বারিক বিল্ডিং, আগ্রাবাদ সিডিএ, নিমতলা, বন্দর, মাতারবাড়ী, সদরঘাট, নিউমার্কেট, মাঝিরঘাট ও পাথরঘাটার আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার, জিইসি, কোতোয়ালি, ডিসি রোড, জেল রোড, আন্দরকিল্লা ও চাক্তাইয়ের আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ‘৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ফকিরহাট র্যাম্প নির্মাণকাজের জন্য গ্যাসলাইনের গতিপথ পরিবর্তন করতে হচ্ছে।