• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

উপাচার্য-শিক্ষক দ্বন্দ্ব, অচল কুবি সচলে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা), আরটিভি নিউজ

  ২৪ মে ২০২৪, ১২:৪২
উপাচার্য-শিক্ষক দ্বন্দ্ব, অচল কুবি সচলে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ
ছবি : সংগৃহীত

উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির মধ্যকার দ্বন্দ্বে ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। গত ২৯ এপ্রিলে শিক্ষক সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং ৩০ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর কার্যত অচল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও সচলে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ, এতে করে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

যে ক্যাম্পাসটি সারাক্ষণ শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর হই হুল্লোড়ে মুখরিত থাকতো, সেই ক্যাম্পাস এখন জনমানব শূন্য প্রায়। উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির মধ্যকার দ্বন্দ্বে সবকিছু এখন থমকে আছে। কবে নাগাদ খুলবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বলতে পারছেন না কেউ। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে সাতটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রস্তাবিত রুটিন এবং পাঁচটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা।

এ দিকে কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস-পরীক্ষা ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই রয়ে গেছেন। কেউ কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বাসে করে ফিরে যান বাড়ি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন উপাচার্য-শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। চলমান এই সমস্যা সমাধান না করলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা চান দ্রুত সময়ের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসুক।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দিনই। ওই দিন বিকেলে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। গত ১৩ মার্চ শিক্ষক সমিতি সাত দফা দাবি জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করে। ২৫ এপ্রিল উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।

২৮ এপ্রিল উপাচার্য, শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী ধাক্কাধাক্কির পর উপাচার্য ও ট্রেজারারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক সমিতি এবং ২৯ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরের দিনই ৩০ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান ও সভাপতি ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিলেই শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন।’

এ ছাড়া শিক্ষকদের ওপর যে হামলা হয়েছে তারও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন তারা।

কবে খুলবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়গুলো তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। একটি কমিটির রিপোর্ট এসেছে, আরেকটি হাতে আসলেই সিন্ডিকেট সভা ডেকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।’

এমনিতেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জট চলছে, তার ওপর দীর্ঘমেয়াদী এই বন্ধ শিক্ষা জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুত এই দ্বন্দ্ব নিরসনে উচ্চ মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের সুনজর দিতে হবে: জবি উপাচার্য 
‌‘শিক্ষা-গবেষণা ও উন্নয়ন দিয়ে দাগ কাটতে চাই’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএসএমএমইউ ও আইএমইউর উপাচার্যের সাক্ষাৎ 
কুবিতে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলালো শিক্ষক সমিতি