• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

কারাগারে আটক জঙ্গি নেতা মন্তেজারের মৃত্যু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৫ মে ২০২৪, ১৭:৩৬
ফাইল ছবি

কারাগারে থাকা জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান মারা গেছেন।

বুধবার (১৫ মে) জয়পুরহাটের জেল সুপার রীতেশ চাকমা মন্তেজার রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন।

জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান রহমান ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আটক ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে হার্ট-কিডনি-প্রেসারসহ জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ২৫০ শয্যার জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কারা তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে ক্ষেতলালের উত্তর মহেশপুর গ্রামে জঙ্গি নেতা মন্তেজারের বাড়িতে জেএমবির শীর্ষ নেতারা গোপনে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই বাড়িটি ঘেরাও করে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবির সদস্যরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল শফিসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করে তিনটি শটগান, ৪৫টি গুলি ও ১টি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেন। ওই রাতে ১৯ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে অস্ত্র লুট, পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম ও মারপিটের অভিযোগ করা হয়।

ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ আসামি ২০০৪ সালের বিভিন্ন সময়ে আদালত থেকে জামিন পান। এরপর থেকেই তারা পলাতক। ২০০৭ সাল থেকে মন্তেজার কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া আসামি শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দিনাজপুর অঞ্চলের পরিদর্শক জালাল উদ্দীন মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ৬০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু হামলার সময় আসামি মন্তেজারের বাড়ির পাশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হলেও বিস্ফোরক আইনে কোনো মামলা করেনি পুলিশ। এ জন্য ২০০৯ সালের ১২ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে সিআইডিকে মামলাটি আবার তদন্তের আদেশ দেন।

সিআইডির দিনাজপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শেখ আহসান-উল কবীর অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে ২০১০ সালের ২৫ মে ওই ৬০ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আদালতে পৃথক আরেকটি অভিযোগপত্র দেন। দুটি মামলার চার্জ গঠন ও বিচার কাজ শুরু হয়েছে বলে জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘জন্মদিনের আগে নিজের মৃত্যুসংক্রান্ত পোস্ট লেখার কোনো ইচ্ছা ছিল না’
আমি মারা যাইনি, সুস্থ আছি: রুবেল
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪৮
নদীতে গোসল করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ শিশুর