• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

মাছিকে বন্ধু বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় মিজানুরের 

কানিজ ফাতেমা শিমু

  ১০ মে ২০২৪, ২১:২০

বহু রোগের জীবাণুবাহক হিসেবে সবার কাছে বিরক্তিকর একটি পতঙ্গ মাছি। সেই মাছি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ভোলার মিজানুর রহমান ।

যেখানে মাছির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আয়ত্ব করে নানা পদ্ধতি। তবে সেই মাছিকে না তাড়িয়ে তাদের লালন-পালনে রাখা হয়েছে দেড় ডজন শ্রমিক ।

বহু প্রজাতির মাছির মধ্যে পরিবেশের জন্য উপকারী ‘ব্লাক সোলজার ফ্লাই’ জাতের মাছি । যা বন্ধু মাছি নামেও পরিচিত। প্রতিদিন খামারে উৎপাদন হচ্ছে ১০০-১৫০ কেজি লার্ভা । এর প্রতি কেজি লার্ভা বিক্রি হয় ৪০-৪৫ টাকা।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী মিজানুর রহমান স্বল্প পরিসরে শুরু করেন মাছ চাষ। তবে বাজারে মাছের খাবারের দাম বেশি হওয়ায় খাবার উৎপাদনে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে থাকেন । পরে জানতে পারেন ব্লাক সোলজার ফ্লাই মাছির লার্ভা চাষের কথা ।

বন্ধু মাছি চাষে তৈরি হচ্ছে মাছের প্রোটিন জাতীয় খাবার। একদিকে বাজারে প্রচলিত মাছে খাদ্যের চেয়েও এর দাম অনেকাংশেই কম অপরদিকে মাছির এ লার্ভা প্রাকৃতিক হওয়ায় মাছও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

কালো রংয়ের এসব মাছি পোকা হিসেবেও পরিচিত। তবে এটি আকারে মাছির তুলনায় কিছুটা লম্বা। এই মাছির জীবন চক্র ৪৫ দিনের। শুরুতে সংগ্রহ করা হয় পচনশলি বর্জ, সেখানে রাখা হয় মাছির লার্ভা । বর্জ খাইয়ে লার্ভাগুলো ধাপে ধাপে বড় করে তোলা হয়। লার্ভাগুলো যখন কালো বর্ণ ধারন করে তখন সেটি কয়েকদিনের মধ্যে মাছিতে পরিনত হয়। ওই মাছি গুলোকে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাখা হয় লাভ বক্সে।

একটা বালতি তার উপর দুইপাশে থাকে থাকে সাজানো কাঠের টুকরো। কিছুদিন পর ওই কাঠের টুকরোর ফাকে গিয়ে ডিম পেড়ে জমিয়ে রাখে। সেখান থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষন করা হয়।২-৩ দিনের মধ্যে সেই ডিম থেকে বের হয় ছোট ছোট লার্ভা ।

লার্ভাগুলোকে পরবর্তীতে খামারের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। আর খাবার হিসেবে দেয়া হয় পচনশীল বর্জ্য। ছোট লার্ভাগুলো সেখানের খাবার খেয়ে বড় হয়, কয়েকদিনে পরিপূর্ণ মাছিতে রূপান্তরিত হয়।

মাছির লার্ভায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ এই যা মাছের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানান ভোলা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব ।

মাছ, হাঁস- মুরগীর বিকল্প ফিড হিসেবে এ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্ধু মাছির লার্ভা। জীবাণুবাহক এই মাছি চাষ ভবিষ্যতে আশীর্বাদে রূপ নেবে, সেইসঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বেকার যুবকদের, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের ।

তথ্য ও ভিডিও: অমিতাভ অপু।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আম কুড়াতে গিয়ে মাটিচাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
‘এমন নির্বাচন হবে যা ভোলাবাসী কখনো ভুলবে না’
মনপুরায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ ৯ জনের মনোনয়ন দাখিল
মেঘনায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh