নড়াইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৪ দিন আগে গুরুতর জখম ব্যক্তির মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হুমায়ুন ঠাকুর (৫০) চারদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তিনি লোহাগড়া পৌরসভাধীন কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত মো. নিরু মিয়া ঠাকুরের ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বুধবার (৬ মার্চ) থানায় একটি মারামারির মামলা হয়, যা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। মামলার পরে পুলিশ লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুর শেখ ও হিরু শেখের ছেলে হামীম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, এক ভ্যান চালককে মারধরের জেরে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কাউন্টারের সামনে উপজেলার রাজাপুর ও কচুবাড়িয়া এলাকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আব্দুল্লাহ ঠাকুর ওরফে শিপলা ও তাঁর বাবা হুমায়ুন ঠাকুর ও রুমান কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। হুমায়ুন ঠাকুরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন