• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টাঙ্গাইলে ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁ-বহুতল ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০
টাঙ্গাইলে ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁ-বহুতল ভবন অগ্নিঝুঁকিতে
ছবি : আরটিভি

ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের পর নড়েচড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের জেলা-উপজেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও তদারকি জোরদার করা হয়েছে।

জেলা রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সমিতির আওতায় জেলা শহরে ১৬০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর বাইরেও জেলায় চার শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইলের পাঁচ শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলো অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের অনেক বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। এসব ভবনে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। ভবনগুলোতে অবস্থিত রেস্তোরাঁয় ওঠানামার জন্য একটা মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। অনেক বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ ফায়ার সেফটি প্ল্যানও নেই।

শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার নেই। অনেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন। অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় যেখানে-সেখানে গ্যাসের বোতল রাখা হচ্ছে। এসব ভবন ও রেস্তোরাঁয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাইরে বের হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

স্থানীয় কলেজ শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, বহুতল ভবন ও অভিজাত রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শহরের অনেক বহুতল ভবন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই। সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও অগ্নিপ্রতিরোধকে গুরুত্ব দিতে হবে।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. রবিউল আওয়াল জানান, এ পর্যন্ত তার পরিদর্শন করা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর প্রত্যেকটি অগ্নিনির্বাপনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোও ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক ভবনে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই। অনেক ভবনে একটিমাত্র সিঁড়ি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের সেফটি প্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত নোটিশ দেওয়া হয়। যারা ওই নোটিশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ১০তলা কোনো ভবনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তাদের নেই। এ বিষয়ে ঢাকায় চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ এবং নির্বাপণের যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেখানে কোনো ঘাটতি আছে কিনা বা ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কি না সেসব বিষয় মনিটর করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি শহরের চারটি স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। তাদের ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, সিওটু এক্সটিংগুইশার ও সেখানে ফায়ার নির্বাপক পয়েন্ট এবং ওয়াটার সোর্সের পয়েন্ট আছে কিনা সবই লক্ষ্য করা হচ্ছে। অনেক রেস্টুরেন্টে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষিকা উধাও 
বেল পাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন
টাঙ্গাইলে হিটস্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু
X
Fresh