সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাধা
ভোলার চরফ্যাশনে জীবিত থাকা অবস্থায় সন্তানদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করায় বাবার লাশ দাফন করতে দেয়নি ৪ সন্তান। অবশেষে ১২ ঘন্টা পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্টাম্পে লিখিত হওয়ার পর বাবার লাশ দাফন করলেন সন্তানরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মৃত রতন তরফদারকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে রতন তরফদার তার নিজ বাড়িতে মারা যায়। রতন তরফদার উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৭টি বিয়ে করেছেন। ৭ ঘরে তার মোট সন্তানের সংখ্যা ১৫ জন। এই ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন তার লাশ দাফনে বাধা দেন।
চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হারুন কিবরিয়া জানান, মৃত রতন তরফদার জীবিত থাকা অবস্থায় ৭টি বিয়ে করেন। ছয় ঘরে তার ১৫ জন সন্তান রয়েছে। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ১৫ সন্তানের মধ্যে ১১ সন্তানকে তার সকল সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন। বাকি ৪ সন্তানকে কোনো সম্পত্তি দেননি। যার কারণে আজ সকাল ৮টায় তিনি মারা যাওয়ার পর তার লাশ দাফনে ৪ সন্তান আপত্তি জানায়। তারা লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না। বাদ জুম্মা নামাজের পর তার লাশ দাফন করার কথা থাকলেও এখনো লাশ দাফন করা হচ্ছে না।
এদিকে এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, ফেসবুক এ স্ট্যাটাস এ আমির হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি পোস্ট করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এতে শত শত মানুষের মন্তব্য এ বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া ও দেখা যায়।
চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, ‘জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ থাকায় সন্তানরা লাশ দাফনে বাধা দিচ্ছেন, আমি শুনেই ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। তাদের নিয়ে বসেছি, রাতের মধ্যেই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করব।’
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন