• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জয়ের পথে সৈয়দ ইবরাহিম, পরাজয় শঙ্কায় ভোট বর্জন জাফরের

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬
জয়ের পথে সৈয়দ ইবরাহিম, পরাজয় শঙ্কায় ভোট বর্জন জাফরের
ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া জয়ের পথে আছেন কল‍্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। অধিকাংশ কেন্দ্রে তিনি এগিয়ে আছেন। এই আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ভোট শেষ হওয়ার ৫০ মিনিট আগে বর্জনের ঘোষণা দেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বিকেল ৩টার পর তিনি নিজ ফেসবুকে লাইভে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট ডাকাতিতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা অভিযোগে এই ভোট বর্জন বলে মন্তব্য করেছেন ওই আসনের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতি ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তার জুলুম-অত্যাচারে এলাকার মানুষ মুখ না খুললেও এখন খুলতে শুরু করেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে সরকারি বনভূমি দখল, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখলের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে আলোচনায় এসেছে চিংড়িঘের দখল, গরু চুরি, মানুষের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ। তাই এবার তাকে প্রতিহত করতে এ দুই উপজেলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

এ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপিত ফজলুল করিম সাঈদীর অভিযোগ, ‘চকরিয়া-পেকুয়ার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন এমপি জাফর আলম। তাদের দিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তিনি করেননি।

সাঈদী আরও বলেন, এমপি তার বাহিনী দিয়ে শতকোটি টাকার জমি দখল করেছেন। প্যারাবন কেটে দখল করেছেন প্রায় দুই হাজার একর চিংড়ি চাষের জমি। নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি বলেন, জাফর আলম এমপি হওয়ার পর চকরিয়া-পেকুয়ার সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী ও ডাকাতদের নিয়ে ‘জাফর লীগ’ গঠন করেছেন। জায়গা দখল, পাহাড় কাটা ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তার বাহিনী। এমন কোনো অপরাধ নেই যা তার বাহিনী করেনি।

এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (হাতুড়ী), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন (ঈগল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুদ্দিন আরমান (কলারছড়ি)।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। চকরিয়া উপজেলায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ জন এবং পেকুয়া উপজেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোটার রয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যেকোনো সময় জ্বলে উঠার আশঙ্কা
চলতি মাসে আরও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা
শঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৩ জনের মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা, ৬ অঞ্চলে সতর্কসংকেত
X
Fresh