প্রেমিকার স্বজনদের স্বীকারোক্তিতে ৪ মাস পর প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের সাড়ে ৪ মাস পর রংপুরের বদরগঞ্জে জাকিরুল ইসলাম(২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর পিবিআই পুলিশ।
প্রেমিকা ও তার স্বজনদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতের মাটি খুঁড়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে দরজির কারিগর ছিলেন নিহত জাকিরুল। তিনি ওই এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে।
গেলো ১৯ মার্চ থেকে জাকিরুলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম ২৩ মার্চ বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন।
প্রেমঘটিত বিষয়ে জাকিরুলকে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রংপুর পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী জানান, একই ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ জাকিরুলের প্রেম ছিল। ঘটনার রাতে মেয়েটির সঙ্গে মুঠোফোনে জাকিরুলের কথা-কাটাকাটি হয়।
তিনি জানান, জাকিরুল নিখোঁজের বিষয়টি রংপুর পিবিআই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ওই তরুণী এবং তার বাবা জাকির হোসেন ও চাচা তাহারুলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হোসেন আলী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জাকিরুলকে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ওই ধানক্ষেত থেকে জাকিরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম বলেন, ১৯ মার্চ মধ্যরাতে মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছিল। এরইমধ্যে ফোনের লাইন কেটে যায়। এরপর অনেকবার কল দিলেও মেয়েটির ফোন বন্ধ পাই।
তিনি আরো বলেন, সে রাতে জাকিরুল বাড়িতেই ছিল। ভোরে দেখি ওর ঘরের দরজা খোলা এবং সে নেই। বাইসাইকেল নিয়ে রাতের কোনো একসময় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
জেবি/কে/
মন্তব্য করুন