জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা
৯৯৯-এ সহযোগিতা চাইলে মাথা ফাটানোর ছবি দিতে বলা হয়!
সিলেটের জাফলংয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যটকদের ওপর হামলার সময় ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা থেকে ঘুরতে গিয়ে হামলার শিকার পর্যটকরা।
জানা গেছে, জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি জাফংলয়ে ২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছে। পর্যটন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তাদের জন্য ১০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু ওই স্বেচ্ছাসেবকরা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতার তত্ত্বাবধানে পর্যটকদের কাছে টিকিটের নামে ‘চাঁদাবাজি’ শুরু করেন। তারা পর্যটকদের কাছ থেকে লাখ লাখ চাঁদা আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটিকে দায়ী করেছে বিভিন্ন মহল।
পর্যটকরা বলেন, আমরা ঘটনার সময় ৯৯৯-এ ফোন দিলে আমাদের মাথা ফাটানোর ছবি পাঠাতে আমাদের বলা হয়। তারা মার্ডার হওয়ার পর পদক্ষেপ নিতো এমনটি মনে হলো। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন হামলার শিকার পর্যটকরা।
জানা গেছে, ওই পর্যটকরা ঢাকার কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে গেছিলেন। তাদের মধ্যে ৮ জন নারী আর ৪ জন পুরুষ। এছাড়া শিশুরাও ছিলো।
হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকার কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর জুরাইন এলাকার সনাতন সরকারের ছেলে সম্রাট সরকার (২৫), সনাতন সরকার (৫৮) তার স্ত্রী ঝর্ণা সরকার (৫২), মেয়ে বিথি সরকার (২৬), আহত হন সুমন সরকার ও তার স্ত্রী সুমি সরকার (২৬), আহত হয়েছেন মধ্য বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দনগরের সুর্যকান্ত সরকারের ছেলে মুকুল চন্দ্র সরকার (২৭), সাভার দক্ষিণ পাড়ার বিজয় চন্দ্র সরকারের ছেলে সুমন শীল।
হামলার শিকার বিথি সরকার জানান, আমরা মেয়ে হয়েও তাদের আটকাতে চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের একটি কথা মেরেই ফেলবো। আমাদের জামা কাপড় টান দেয় তারা।
গুরুতর আহত সুমনের স্ত্রী সুমি সরকার বলেন, তারা আমার দেবর ও স্বামীকে মারপিঠ করেছে। ওরা এসএস পাইপ দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করেছে। আমি হতভম্ব হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, সন্তান কোলে, কারে বাঁচাবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারপরও তাদের গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আজ আমার স্বামী মারা গেলে সন্তানদের কি হতো। তারা আমাদেরকে অনেক হেনস্তা করেছে। হামলাকারীদের সুষ্ঠু বিচার চাই।
মন্তব্য করুন