১০ লাখ টাকা বৃত্তির প্রলোভন, সাড়ে ৩ লাখ টাকা খোয়ালেন কলেজছাত্রী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আসমা বেগম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ১০ লাখ টাকা বৃত্তির মিথ্যা প্রলোভনে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৭০০ টাকা খুইয়েছেন। একটি বিকাশের দোকান থেকে ওই শিক্ষার্থী টাকা পাঠানোর পর পর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে দিলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পৌরশহরের ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, প্রতারিত আসমা বেগম বরগুনার আমতলী সরকারি কলেজের ডিগ্রি শেষ পর্বের ছাত্রী। তিনি আমতলী উপজেলার সেকেন্দারখালী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌর এলাকায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।
প্রতারণার শিকার আসমা সাংবাদিকদের জানান, তাকে সোমবার দুপুরে ০১৮৯৪২৮১০৪৪ থেকে মোবাইল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে উপবৃত্তি বাবদ তাকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে আশ্বাস দেন। তবে তাকে ৪ লাখ টাকা পাঠাতে হবে বলে শর্ত জুরে দেয়। আসমা সরল বিশ্বাসে রুক টেলিকম সেন্টার থেকে ৯টি নাম্বারে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৭০০ টাকা বিকাশ করে। পরক্ষণেই ১০ লাখ টাকা আসবে সেই টাকা রুক টেলিকম সেন্টারে পরিশোধ করে দেবে। টাকা সেন্ট হওয়ার পরপরই প্রতারকের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে দেয়। পরে ওই ছাত্রীকে রুক টেলিকমের মালিক সুব্রত আটকে রেখে সংশ্লিষ্ট পৌর
কাউন্সিলর মো. তারিকুজ্জান তারেকের জিম্মায় রাখে।
কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান তারেক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে খবর দেয়া হয়েছে।
রুক টিলিকমের মালিক সুব্রত ঘরামী জানান, টাকা সেন্ট করার পর তার বোধগম্য হয়। তবে ওই নারী সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করবে বলে বিশ্বাস করে ওই টাকা সেন্ট করেছেন বলে তিনি জানান।
এসএস/টিআই
মন্তব্য করুন