• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পরিবেশবান্ধব ইটভাটার প্রযুক্তি চালু বিরামপুরে

হিলি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪৮
ধোঁয়াবিহীন পরিবেশবান্ধব ইটভাটার প্রযুক্তি চালু বিরামপুরে
ইটভাটার প্রযুক্তি চালু বিরামপুরে

দিনাজপুর জেলায় এই প্রথম কালো ধোঁয়াবিহীন পরিবেশবান্ধব ইটভাটার প্রযুক্তি চালু করেছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা আশরাফুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ পদ্ধতিতে টানেলের মধ্য দিয়ে কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া পরিশোধন করে বিষাক্ত কার্বন ও গ্যাসমুক্ত সাদা ধোঁয়া বের হচ্ছে এই ইটভাটা দিয়ে। এতে কমে আসছে পরিবেশের ক্ষতি।

ইটের আকার, গুণগত মান, পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও উৎপাদনে কম খরচ হওয়ায় এই ইট দিয়ে বাড়ি বানাতে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক পরিবার। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এলাকার সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে স্থাপিত এ এইচ অটো ব্রিকস লিমিটেড। কালো ধোঁয়া না উড়িয়ে এই ভাটায় তৈরি করা হচ্ছে ইট। এই ইটভাটায় রয়েছে ৩০০ ফুট লম্বা আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল। যার ভিতর বসানো হয়েছে ওয়াটার প্ল্যান্ট। যেখানে ইটভাটার কালো ধোঁয়া ফিল্টারিং করা হয়। এতে কয়লা পোড়ানো ধোঁয়া পরিশোধিত হয়ে বিষাক্ত কার্বন ও অন্যান্য গ্যাসমুক্ত সাদা ধোঁয়া বের হয়।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা তৈরি প্রসঙ্গে এর মালিক বিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুজ্জামান চৌধুরী আরটিভি নিউজকে বলেন, এই পরিবেশবান্ধব ইটভাটায় উৎপাদন খরচও কম। এই ইট তৈরিতে বায়ুদূষণ না হওয়ায় এলাকার মানুষের নজরে এসেছে। বাংলা ইটের থেকে দেখতে সুন্দর এবং সাইজে বড় হওয়ার কারণে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের। ইটভাটার পাশে জমি চাষ করলেও চাষাবাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। বাংলা ইটের থেকেও দাম অনেকটাই কম। বাংলা ইট প্রতি হাজার ৮ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি হলেও পরিবেশবান্ধব ইট বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার ৮ হাজার টাকায়। দিন দিন এলাকাতে বেড়েই চলেছে পরিবেশবান্ধব এই ইটের চাহিদা।

জানা গেছে, ২০১০ সালে এই ইটভাটার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ইট ভাটা।

পরিবেশবান্ধব ভাটায় কয়লা ব্যবহার করা হয়। যার কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে অনেক উপকার হতো।

বিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম রাজু আরটিভি নিউজকে বলেন, পরিবেশবান্ধব ইটভাটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। কারণ পরিবেশবান্ধব ইটভাটায় পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইটভাটার এই প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ করা ইটভাটা বন্ধের আহ্বান জানাই।

এমআই/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ জনজীবন
‘তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজতে হবে’
অষ্টগ্রামে ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
হিলিতে তীব্র গরমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
X
Fresh