কক্সবাজারে এখনও পানিবন্দি ১ লাখ মানুষ, বেড়েছে নদীর ভাঙন ও দুর্ভোগ
কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদী ও প্লাবিত জনপদ থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। এখনো জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, ঈদগাও, রামু ও সদর উপজেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এসব এলাকার বন্যাকবলিত মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে রামু-ঈদগড় সড়কের পানের ছরা ঢালায় বিরাট অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও জেলার মাতামুহুরি ও বাকখালী নদীর ভাঙন বাড়ছে। মাতামুহুরি নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গতকালও ভাঙনের ফলে শতাধিক বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মাতামুহুরি নদীর ফাসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, কাকারা, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, শাহারবিল, চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে বাকখালী নদীর গর্জনীয়া, রাজারকুল, ঝিলংজা, রামু পয়েন্ট নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৫২৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের ৪ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে। জেলার ৭১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার মধ্যে ৫১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরও জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হবে।
কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
এসএস
মন্তব্য করুন