স্বামীর পরকীয়া, বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা
নিখোঁজের দুদিন পর পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ফেছুয়ান গ্রামের ইছামতি নদী থেকে কানিজ ফাতেমা (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী রাকিবুল ইসলাম (২৪) কে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৫ মে) সকালে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কানিজ ফাতেমার বেড়া পৌর এলাকার শম্ভু গ্রামের মো. আব্দুল কাদের মেয়ে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে জানান, দুই বছর আগে সাঁথিয়া ফেছুয়ান গ্রামের চাঁদু শেখের ছেলে রাকিবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কানিজ ফাতেমার। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গত ২ দিন আগে ১৩ এপ্রিল রাতে কানিজ ফাতিমাকে তার বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে সাঁথিয়ার করমজা এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় স্বামী রাকিবুল। পরে তিনি কানিজকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ইছামতি নদীর কচুরিপানার মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বেড়া থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ স্বামী রাকিবুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যা'র ঘটনা স্বীকার করে। পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ার জন্যই স্ত্রীকে হত্যা করেছে রাকিবুল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বেড়া থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কানিজের ভাই ফরিদ জানান, বিয়ের সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক নেয় রাকিবুলের পরিবার। বিয়ের পরেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য নির্যাতন করতো রাকিবুলের পরিবার। এছাড়াও তার অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই কারণে আমার বোনকে হত্যা করেছে।
এসএস
মন্তব্য করুন