মহাসড়কের পাশে গাছতলায় সময় কাটছে ধানকাটা শ্রমিকদের
মুসলিম উদ্দিন। বয়স ষাটের উপরে। বয়সের চাপে অনেকটা নুইয়ে পড়েছেন। তারপরও পেটের তাগিদে সংসার চালানোর লক্ষ্যে কয়েকদিন আগে রংপুরের গঙ্গগাচড়া উপজেলা থেকে ধানকাটা শ্রমিক হিসেবে টাঙ্গাইল এসেছিলেন।
শুধু মুসলিম উদ্দিন নয়, তার সাথে আব্দুর রহিম, শফিকুল, কুদ্দুস, ইয়াছিন, মজিদসহ ১০-১২ জনের একটি দল ছিল। ঈদের আগে যেখানে কাজ করেছেন সেখান থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার বাবলা এলাকায় সড়কের পাশে গাছ তলায় বসে রয়েছেন তারা। অপেক্ষায় রয়েছেন যানবাহনের।
ঈদ করতে যেতে হবে পরিবারের সাথে। বাড়িতে অপেক্ষা করছেন স্ত্রী-সন্তানরা। অনেকের আবার ঘরে নাতি-নাতনিও রয়েছে। তাদের জন্য জামাকাপড় ও পরিবারের জন্য সেমাই চিনি কিনতে হবে। কিন্তু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের বাড়ি ফেরা। দূরপাল্লার বাসও নেই। ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাসে ভাড়া চাচ্ছেন কয়েকগুন।
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধানকাটা শ্রমিকদের এমন জটলা দেখা গেছে। যারা বাড়ি ফেরার জন্য মহাসড়কের পাশে বসে রয়েছেন। কেউবা মহাসড়ক দিয়ে হেটে যাচ্ছেন।
ধানকাটা শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন ধান কেটে তিন-চার হাজার টাকা পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বউ পোলাপান ও নাতি নাতনিদের নিয়ে ঈদ করবো। এখন কিভাবে বাড়ি যাবো বুঝতে পারছিনা। অনেক বেশি ভাড়া চায়। কমে কিভাবে যাওয়া যায় তার জন্য সড়কের পাশে বসে রইছি।
আরেক শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, সকাল থেকে সড়কে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুতেই বাড়ি যাইতে পারছিনা। ভাড়া চায় ৫০০-৬০০ টাকা করে। গাড়ি ভাড়া যদিই সব দিয়ে দেই তাহলে বাড়িতে কি নিয়ে যাবো?
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, যে সমস্ত ধানকাটা শ্রমিক দেখতে পাচ্ছি তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় বাড়ি পৌঁছার ব্যবস্থা করছি।
এমআই
মন্তব্য করুন