ইয়াবা-অস্ত্র উদ্ধার, দম্পতিসহ আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ও র্যাব পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৫৬ হাজার ৯৮০ পিস ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি কার্তুজ ও রামদা।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার পৌরসভা এলাকা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পশ্চিম পাড়া থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার মো. হোসেনের ছেলে মো. রফিক (২৫), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার জাফর আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (২২) তার স্ত্রী নূরে জান্নাত (১৯) ও মিয়া হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৮)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে তারই নির্দেশনায় উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. নুর নামের ওই যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটকের নিজ বাড়িতে হেফাজতে থাকা একটি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৬৯।
এদিকে একই দিন রাতে ওই অভিযানের দেড় ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে উপ পরিদর্শক রাফি’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌরসভার ঈদগাহ মাঠের পূর্ব পাশে অভিযান চালিয়ে রফিক নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
র্যাবের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী পাকা রাস্তায় একদল ইয়াবা পাচারকারী মাদক ক্রয় বিক্রয় করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হলে হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে তল্লাশি করে ৩ হাজার ৯৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে। তাকে ইয়াবাসহ টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া অভিযান চালিয়ে ৫২ হাজার পিস ইয়াবাসহ নূরে জান্নাত (২০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডি সিরাজুল মোস্তফা।
এ বিষয়ে ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সকলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জিএম
মন্তব্য করুন