গরুর দর পতন, দিশেহারা ব্যবসায়ীরা!
মেহেরপুর জেলার হাটগুলোতে গবাদিপশুর দর পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। লকডাউনে বাইরের জেলা থেকে কোনও ব্যবসায়ী আসছেন না। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল আমদানি হলেও ক্রেতার সংখ্যা সীমিত। ফলে কাঙ্ক্ষিত দাম মিলছে না। গরু প্রতি ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার মধ্যে অন্যতম বড় পশুর হাট হচ্ছে গাংনী উপজেলার বামন্দী-নিশিপুর পশুর হাট। সোমবার (১৯ এপ্রিল) হাটে পর্যন্ত গরু ছাগল নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
গরু পালনকারী বাওট গ্রামের আসাদুল ইসলাম জানান, আমি একটি গরু বিক্রির জন্য এনেছি। ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ন্যায্য মূল্য। কিন্তু ব্যাপারীরা ৮০ হাজার টাকার উপরে দর দিচ্ছে না। তাই গরু বিক্রি করতে পারছি না।
শুকুরকান্দি গ্রামের গরু ব্যাপারী আনোয়ার হোসেন বলেন, হাটে আজ তেমন কোনও ব্যাপারী নেই। ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে কোনও ব্যাপারী আসছেন না। স্থানীয় ব্যাপারীরাও পর্যাপ্ত দর দিয়ে গরু কিনছেন না।
বামন্দী-নিশিপুর পশু হাট ইজারাদার আব্দুল আলিম বলেন, প্রতি হাটে ১২শ’ থেকে ১৪শ’ গরু ছাগল কেনাবেচা হয়। আজ হয়েছে দেড়শ মতো। গরু পালনকারী, ব্যাপারীদের মতই ইজারাদাররাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গরু পালনকারীরা জানান, গেল বছরের লকডাউনে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তা কাটিয়ে উঠার জন্য নতুন করে তারা গরু পালন শুরু করেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে আবারও ক্ষতি শুরু হয়েছে। মেহেরপুর জেলার উদীয়মান অর্থনীতিতে গবাদিপশু পালন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই এ খাত টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন গরু পালনকারী ও ব্যাপারীরা।
এসএস
মন্তব্য করুন