নেত্রকোনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
নিজের মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডুলী গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক এক বাবা (৫০)। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার এক ছেলে বাদী হয়ে বাবাকে আসামি করে ওই রাতেই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুনঃ যে ভাবে মামুনুলের মাদ্রাসায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা ইলিয়াস
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, মেয়ের জবানবন্দীতে বাবাকে আটক করেছি। মামলাও হয়েছে। তার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুনঃ চাকরিহারা স্বামী এসকর্ট সার্ভিসে, জানতেই পারেননি স্ত্রী
মামলার বাদীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তারা তিন ভাই এক বোন। তাদের বাবা সন্তোস মিয়া একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম মায়ের দুই ছেলে ও দ্বিতীয় মায়ের এক ছেলে এক মেয়ে। কাজ করার সুবাদে তারা সকলেই ঢাকার গাজীপুরে থাকতেন। মা গার্মেন্টস কর্মী ও বাবা রাজমিস্ত্রী এবং এক ভাই সিএনজিচালক। বাদী নিজেও রাজমিস্ত্রী। বোনটি কিশোরী। সকলেই শ্রমিক হওয়ায় বোন বাসায় একাই থাকতো। সেই সুযোগে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বাবা দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণ করে আসছিল। কিন্তু বাবা হওয়ার সুবাদে লজ্জায় বোনটি বলতেও পারেনি। কাজ করতে গিয়ে এক্সিডেন্টে বাবার পায়ে রড লাগানোর পর থেকে গত কোরবানি ঈদে স্বপরিবারে নিজ গ্রামে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলে এসেছি। কিন্তু এখানে এসেও গত ১১ এপ্রিল রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে তার বোনকে দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির উত্তর পাশের চাচাতো ভাইদের বাড়ির ডোবার এখানে ধানক্ষেতে নিয়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বোনটি বাড়ি এসে আত্মহত্যা করবে এমন কথা বলে আমাদের কাছে কান্না করে।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী পরকীয়া করছে জেনে স্বামীর আত্মহত্যা, ভিডিও করলেন স্ত্রী
ঘটনা শুনে আমাদের বাবা বলে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিলাম না।
বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেবে বললে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবা বোনটিকে বেধড়ক মারধর করেন। এসময় আমার বোন পালিয়ে চলে যায় থানায়। তার সঙ্গে আমরাও গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলে রাতেই পুলিশ বাবাকে বাড়ি থেকে আটক করে।
পি
মন্তব্য করুন