• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুই পুলিশসহ তিনজনের নামে মামলা

মাদারীপুর প্রতিনিদি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫০
মামলা×আসামি×পুলিশ×পদ্মাসেতু×পোশাক×ব্যবসায়ী×ম্যাজিস্ট্রেট×কনস্টেবল×
ফাইল ছবি

মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করে সুজন শেখ। সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।

মামলার আসামিরা হলেন, দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারী।

মামলার এজাহারের বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর তিনটার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন। মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগর এলাকায় আসলে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করে। পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় মাহাবুব ও সোহাগ। পরে সুজনের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে পাশের টোকান বেপারীর দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে এ ঘটনা কাউকে যেন না বলে সুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ কোনও পরামর্শ না দিয়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে সুজন শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন। মামলাটির শুনানি শেষে বিচারক তারিখের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, কোনও কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমাণ আদালতে মামলার নথিতে দেওয়া হয়েছে। মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান আরটিভি নিউজকে জানান, ব্যক্তিগত কোনও দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নিবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৯
দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদপুরে বাজুসের মানববন্ধন
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
X
Fresh