• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ, কারাগারে দুই পুলিশ সদস্য

পঞ্চগড় সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:১৭
মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ, কারাগারে দুই পুলিশ সদস্য
ফাইল ছবি

পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশসহ সীমান্তের দুই দেশের মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে পঞ্চগড় পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট ৪ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার পঞ্চগড় পুলিশ লাইনে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন (৪০) ও কনস্টেবল ওমর ফারুক (২৪) গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতেই দুই পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেছে ওই থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও মাসুদ নামের এক ব্যক্তির। মাসুদের ঠিকানা ও পরিচয় নেই এজাহারে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মোমিন পাড়া সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের বাসায় পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক ও মোশারফের যাওয়া আসা ছিল। ঘটনার দিন তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেখানে ভুট্রো নামে একজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে মোশারফ ও আমিরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। ওমর ফারুককে আটক করে ভারতীয় বিএসএফের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

এর আগে পঞ্চগড়ে সীমান্ত থেকে ওমর ফারুক (২৪) নামে জেলা পুলিশে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্ত থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ওই পুলিশ কনস্টেবল পঞ্চগড় আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

ওইদিন স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুকসহ ৩ জন পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকায় যায়। এ সময় কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে তারা ওমর ফারুককে আটক করে মারধর করে। পালিয়ে যায় অপর দুইজন। পরে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে তারা কেন সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন আর কেনই বা ভারতীয়দের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি বিজিবি।

বিএসএফ এর হাতে আটকের ২২ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার ধরে নিয়ে যাওয়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সদস্য ওমর ফারুককে ফেরত দেয় বিএসএফ। পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয় বিএসএফ। এ সময় ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় ও ২১ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট জিএস টমার উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি বিএসএফের কাছে ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রহণ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। এ সময় ওমর ফারুকের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা গেছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি তদন্ত জামাল হোসেন জানায়, এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দুইজন পুলিশ সদস্য বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। বাকি দুইজন কে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
তীব্র গরমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে আইজিপি
কেমন কাটছে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ঈদ
X
Fresh