মাদরাসা শিক্ষকের একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ছোট ভাইয়ের শ্যালিকা
সুনামগঞ্জের ছাতকে ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সী এতিম কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সোলেমান আলী (২৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সোলেমান আলীকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোনের বিচারক বেলাল উদ্দীনের আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এরপর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ।
হাফেজ সোলেমান আলী ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামের কারি আপ্তাব আলীর ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কিশোরীর বড় বোনের ভাসুর। তিনি হবিগঞ্জের একটি মাদরসায় শিক্ষকতা করেন।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ৫ নভেম্বর পিতৃ-মাতৃহীন ওই কিশোরীকে ছাতক উপজেলার জাতুয়া গ্রামের বড় বোনের বাড়িতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভাসুর হাফেজ সোলেমান আলী। এরপর নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজনের চাপে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেয় হাফেজ সোলেমান আলী। কিন্তু নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে একপর্যায়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় সোলেমানের পরিবার। এ ঘটনায় গেলো ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত হাফেজ সোলেমান আলীর বিরুদ্ধে ছাতক থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বড় বোন।
এরপর ২৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে ছাতক থানা পুলিশ অভিযুক্ত হাফেজ সোলেমান আলীকে সিলেট নগরীর হজরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সেইসঙ্গে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জানিয়েছেন ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।
জেবি
মন্তব্য করুন