বিয়ে ছাড়াই ৩ মাস সংসার, প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ও ভাড়া বাসায় নিয়ে দু’জন একসঙ্গে তিন মাস সংসার করার পর এখন বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক সাইফুল ইসলাম। এ পরিস্থিতিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষ্মীকোল গ্রামে।
আরও পড়ুন...
ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা দুলাভাই
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) থেকে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ছাত্রী। আজ রোববারও অনশন করছেন তিনি। বাড়িতে প্রেমিকার আসার কথা জানতে পেরে উধাও হয়েছেন প্রেমিক সাইফুল। তিনি ঠাকুর লক্ষ্মীকোল পাবনাপাড়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, পাবনাপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করছিল। তাদের মধ্যে দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। গত আগস্টে কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গাজীপুরের কামরাঙ্গার চালা এলাকায় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকেন। কলেজছাত্রী সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে এতে অস্বীকৃতি জানান প্রেমিক। পরে গত নভেম্বরে তারা নাটোর ফিরে আসেন। এরপর গত ৭ জানুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে বাড়িতে আসার জন্য বলেন সাইফুল।
আরও পড়ুন...
জানালা দিয়ে কোপানোর দৃশ্য দেখলেও কিছুই করার ছিলো না প্রতিবেশীদের (ভিডিও)
মেয়েটি প্রেমিকের কথামতো বাড়িতে গেলে সাইফুলের পরিবার থেকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয় মেয়েটিকে। কিন্তু তিনি প্রেমিক সাইফুলকে বিয়ের দাবিতে অনড় থাকেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার বিয়ের আশ্বাস দিলেও তিনদিন পর কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে এক সালিশ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ কারণে আজ রোববারও বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাইফুলের বাড়িতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।
প্রেমিক সাইফুলের বাড়িতে দেখা যায়, ওই কলেজছাত্রী তার প্রেমিক সাইফুলের বাসার ভেতরে বসে আছেন। বাড়িতে অন্যসকল লোকজন থাকলে প্রেমিক সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন...
বাসা ফাঁকা থাকলেই বান্ধবীদের এনে উল্লাস করতো দিহান
কলেজছাত্রী বলেন, দুই বছর ধরে সাইফুলের সঙ্গে আমার পরিচয় ও সম্পর্ক। তিনি আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অনৈতিকভাবে সম্পর্কও করেন এবং গাজীপুরে আমরা একসঙ্গে তিনমাস সংসার করেছি। সম্প্রতি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে অসম্মতি জানায়। সাইফুল আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়া পর্যন্ত এ বাড়ি ছাড়ব না আমি। এখানেই অবস্থান করব। আমাকে স্বীকৃতি না দিলে এখান থেকে লাশ যাবে। তবুও এ বাড়ি ছাড়ব না।
প্রেমিক সাইফুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার বাবা সিদ্দিক মোল্লা বলেন, প্রয়োজনে ২০ লাখ টাকা খরচ করব তবু এই মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে মানব না।
নলডাঙ্গা থানার ওসি জানান, এ বিষয়ে শুনেছি। অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগ করলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এসআর/এসএস
মন্তব্য করুন