টাঙ্গাইলে স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় দুপুরে লাভলী আক্তার (২৭) নামক এক গৃহবধূকে বিষ খাওয়া অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী লুৎফর রহমান।
নিহতের স্বামীর ভাষ্যমতে লাভলী আত্মহত্যা করতে বিষ খেয়েছেন। নিহতের ভাই ওমর ফারুককে আত্মহত্যার খবর দিয়ে লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান লাভলীর স্বামী।
নিহত গৃহবধূ লাভলী আক্তার উপজেলার কোকাদাইর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার মেয়ে এবং বনগ্রাম গ্রামের আরান আলীর ছেলে লুৎফরের স্ত্রী। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
নিহত লাভলীর ভাই সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে মাঝে মাঝেই আমার বোনের স্বামী মারধোর করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বিচার শালিসও হয়েছে।
রোববার সকালে আমার বোন ফোন দিয়ে তাকে তার স্বামী মারপিট করেছে বলে জানায়। এবং তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলে। এরপর বোনকে আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হই। মাঝ পথে আমার দুলাভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার বোন বিষ খেয়েছে হাসপাতালে আসো। তখন গিয়ে দেখি বোন হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে আছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার দুলাভাই বোনকে মেরে জোর করে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, বিষ খাওয়া অবস্থায় লাভলী আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও তাকে বাচাঁতে পারিনি।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনিসুজ্জামান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে এটি হত্যা প্রমাণ মিললে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহণ করা হবে।
জিএম/জিএ
মন্তব্য করুন