‘আজ গরম কাপড় পড়তে হয়েছে’
হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় এ এলাকায় সবার আগে শীত অনুভূত হয় এবং শেষে শীতের সমাপ্তি ঘটে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার চলতে চলতি বছরে জেলাজুড়ে নেমে এসেছে শীত। ফলে গরম কাপড় পড়তে শুরু করেছে জেলার সাধারণ মানুষ জন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে এমন গরম কাপড় পরিধানের চিত্র দেখা যায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। তাছাড়া একই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনে হালকা কুয়াশা সকালের শুরুতে ও রাতের মধ্যেভাগে শীতের দাপট দেখা দেয়।সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকে যায় এবং সাধারণ মানুষ শীতের কাপড় পড়ে বাইরে বের হয়েছেন। কেউ কেউ আবার ঠান্ডার কারণে কাজ অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ তার আগেই বাড়ির পথ ধরেছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামাড়া এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত থেকে কুয়াশা পড়তে দেখা যায় এবং আজ সকাল থেকে থেকে হিমালয়ের হিম বাতাসে জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়ে এবং অনেক মানুষ গরম কাপড় পড়ে বের হয়েছেন।
একই কথা জানান, তেঁতুলিয়া বাজারের ভ্যানচালক আসিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল বিকেল থেকে হালকা বাতাস ও কুয়াশার কারণে অনেক শীত করে এবং আজ প্রথম গরম কাপড় বের করেছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আরটিভি নিউজকে জানান, আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
জেবি
মন্তব্য করুন