• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের নামে ইতালি প্রবাসীর প্রতারণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৫ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০০
Deception of Italian, expatriates in the name of marriage, rtv news
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

এক ইতালি প্রবাসীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

হুমকি দেয়া হয়েছে ডাকাত দিয়ে হত্যা করার। গতকাল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতিত পরিবার। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দুই মেয়েসহ নির্যাতনের শিকার শারমিন সুলতানা।

এতে তিনি জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি নবীনগরের ওয়ারুক গ্রামের ইতালি প্রবাসী শহিদুল হোসেন নারুই গ্রামের শারমিনের বড় মেয়ে ছাবিকুন্নাহার নিলাকে বিয়ে করেন।

নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ১৫-২০ দিন স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন-যাপন করে নীলা ও শহিদুল। এরপর শহিদুল ইতালিতে চলে যান। বিয়ের পর ছয় মাস পর্যন্ত স্ত্রী নিলার সঙ্গে সে স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষা করে। এরপরই শহীদুলের মুখোশ খুলে পড়ে। সে বিয়েকে অস্বীকার করে। দেশে ফিরে শহিদুল আবার বিয়ে করতে গেলে নীলা তার বাড়িতে গিয়ে অনশন করে। পরে এ ঘটনায় নীলা বাদী হয়ে শহিদুল গংদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।

এই মামলায় শহিদুল ১৫ দিন জেলও খাটে। পরে শহিদুলের লোকজন নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মামলাটি খারিজ করে নেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নীলার মা। এখন উল্টো নীলার পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাছাড়া নীলার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়িয়ে তাকে হেয় করা হচ্ছে। শারমিন সুলতানা বলেন, শহিদুলের ছোট ভাই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে তার দুই মেয়ে ও তাকেসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

তাছাড়া স্থানীয় আলী আজম ডাকাতকে দিয়ে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে মাহমুদ। নীলার বিষয়টি মীমাংসার নামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নীলার পরিবারকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছর শিবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এ নিয়ে এক সালিশ সভা হয়। সেখানে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অলি মাষ্টার, শহিদুলের চাচা সম্পর্কীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন, শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক ও পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এহসানসহ অন্যান্য সর্দাররা এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চালান। এ নিয়ে আরেক দফা সালিশ হয়। ওই সালিশে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনার রফাদফা করেন জেলা যুবলীগের এক নেতা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই টাকা পাননি শারমীন। মেয়ের সঙ্গে হওয়া এই ঘটনার বিচার পেতে শারমীন স্থানীয় সংসদ সদস্যেরও দ্বারস্থ হন। শহিদুল, তার ভাই মাহমুদুল হকসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নীলার মা শারমীন। তিনি তাদের বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, নাজমুল ইসলাম ও মো, ওবায়দুর।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিরোধ, ছেলের হাতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে
অটোগ্রাফ দিয়ে প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী!
বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
X
Fresh