ধর্ষণ, ভিডিও, মারধর, টাকা আত্মসাৎ সবই করলো আ.লীগ নেতা
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাশের উপজেলার রামপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চাটমোহর থানায় মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
গ্রেপ্তাকৃত গোলজার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম দুই বছর আগে প্রবাশে পাড়ি জমান। সেখান থেকে তার স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে পাশের নাজিরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন আব্দুর রহিমের স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এছাড়া ওই গৃহবধূর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকাও গোলজার হোসেন হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। গত এক মাস আগে প্রবাসী আব্দুর রহিম বাড়ি ফিরে টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে তার স্ত্রী গোলজারের কাছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা রাখা আছে বলে জানান। প্রবাসী রহিম টাকা চাইলে গোলজার তালবাহানা করতে থাকেন। গত ২ অক্টোবর রহিম আবারও টাকা চাইতে গেলে গোলজার ও তার সহযোগিরা তাকে মারপিট করে আহত করেন। এ নিয়ে থানায় আব্দুর রহিম একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আরও পড়ুন :
হেল্পারের কাছে আশ্রয় চেয়ে বাসের ভেতর ধর্ষণের শিকার নারী
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ধর্ষণের কথা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না বিধবা নারী
সাভারে একই সময়ে জমজ বোনসহ ৩ মেয়েকে ধর্ষণ করে বাড়িওয়ালা
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শালিসে ওই গৃহবধূ গোলজারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। পরে শালিসটি ভণ্ডল হয়ে গেলে ওই গৃহবধূ গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামি গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
জেবি
মন্তব্য করুন