• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চট্টগ্রামের উন্নতির ক্ষেত্রে আপস করবো না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

  ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০২
Will not compromise on development of Chittagong says LGED Minister
সংগৃহীত

চট্টগ্রামের উন্নতির ক্ষেত্রে আপস করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আহরণ করে বন্দর। বন্দর থেকে ট্রাক বের হয়ে সিটি করপোরেশনের সড়ক ব্যবহার করে। চসিককে তো কেউ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ফ্রি দিচ্ছে না। চট্টগ্রামের উন্নতির ক্ষেত্রে আপস করবো না।

আলোচনা সভায় কর্ণফুলী নদীর পার লিজ দেয়া নিয়ে মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ কেন দিচ্ছেন আমি জানি না? মহিউদ্দিন সাহেব আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তার মধ্যে বেসিক দেশপ্রেম ছিল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখেন। পথনকশা তৈরি করেছেন। ঢাকাতে উন্নতি সীমাবদ্ধ রাখা হবে না। গ্রামেও পৌঁছে দেয়া হবে। আমাদের বিভিন্নভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের উপলব্ধি এসেছে, বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হবো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অর্থনীতির শঙ্কার জায়গা থেকে বেরিয়ে গেছি। কোভিডের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও আমরা জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা মোকাবিলা করতে পারবো। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ইকোনমিক হাব। সমুদ্রবন্দর গড গিফটেড। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালেই সিঙ্গাপুর হতো। আমাদের প্রাকৃতিক সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকার পাঁচটি নদী ও কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণ বন্ধে কাজ করছি আমরা। ঢাকার বাইরে এটি প্রথম সভা। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন সভাটি এখানে করার জন্য। দুর্ভাগ্য তিনি এখন অসুস্থ।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দৃষ্টিনন্দন শহর হবে। গড গিফটেড অপরচুনিটি রয়েছে। আউটার রিং রোড, কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করতে পারলে হাজার হাজার পাঁচ তারকা হোটেল হবে। এর জন্য রকেট সায়েন্সের দরকার হবে না। শুধু চট্টগ্রাম পর্যটন খাত দিয়ে পুরো দেশকে এগিয়ে নেবে। তবে অবকাঠামো যাতে আগামী দিনের দুর্ভাগ্য ডেকে না আনে।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে আন্তরিক। তাই এত প্রকল্প ও টাকা দিয়েছেন। আরও দেবেন যদি কাজে লাগাতে পারি। আগে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলতেন, ইনকাম জেনারেট করতে হচ্ছে। এখন সরকার সহায়তা দিচ্ছে।

এ/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, খোলা থাকবে হল
হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন ক্রিকেটাররা
চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন
X
Fresh