অপরাধবিষয়ক টিভি সিরিয়াল দেখে গ্রেপ্তার এড়িয়ে ছিলো কিশোর গ্যাংয়ের দুই খুনি
গেলো ২৭ আগস্ট রাত আটটা। কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয় সোহাগ। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল, হৃদয়, সাদ, সাব্বির হোসেন ও সানির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুতেই কাটার রাসেল ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করতে পারছিল না। কারণ তারা বিদেশি অপরাধবিষয়ক টিভি সিরিয়াল দেখে পুলিশের হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল অবলম্বল করছিল। এমনকি তারা মোবাইল বা অন্য প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। নিজেরা আত্মগোপনে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও আত্মগোপনে যাওয়ার জন্য সাহায্য করেছিল।
আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। কাটার রাসেল ও হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর এই সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা এলাকায় কাটার ‘দি বস’ নামের একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলো। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল গড়ে তুলেছে। তাদের বেপরোয়া চলাফেরার জন্য স্থানীয়রা তাদের এড়িয়ে চলতো।
তিনি বলেন, কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে যেদিন খুন করা হয় সেদিন রিকশার চাকা থেকে ময়লা পানি শরীরে লেগেছিল কাটার রাসেলের। এর জের ধরে সে রিকশাচালককে মারধর করেছিল। এর প্রতিবাদ করায় সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে কাটার রাসেল ও তার বাহিনী। পরে স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা পিস্তল কোথায় পেয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক।
জেবি
মন্তব্য করুন