• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শরীয়তপুরে ৩৭টি স্থানে ব্যাপক নদী ভাঙন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি , আরটিভি নিউজ

  ০৫ আগস্ট ২০২০, ২১:০১
শরীয়তপুরে ৩৭টি স্থানে ব্যাপক নদী ভাঙন

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর বন্যার পানি কিছুটা উন্নতি হলেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন। শরীয়তপুরের পাঁচটি উপজেলার ৩৭টি স্থানে নদী ভাঙনে বসত বাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৭শ’ পরিবার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নদী ভাঙন হচ্ছে নড়িয়া উপজেলায়। গত দশদিনে প্রায় ৩শ’ বসত বাড়িসহ একটি প্রাইমারি স্কুল ও চারটি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

ঈদের দিনেও ঘর ভাঙার কাজে ব্যস্ত ছিলেন পদ্মা পাড়ের অসহায় মানুষগুলো। ঈদের আনন্দ ছিল না তাদের মাঝে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে এসব মানুষের। ২০১৮ সালে সর্বকালের ভয়াবহ নদী ভাঙন হয়েছিল শরীয়তপুরের নড়িয়ায়। সে সময় অসংখ্য বহুতল ভবন ও কাঁচা-পাকা সড়ক, মসজিদ-মন্দির, বাজারসহ সাড়ে ছয় হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবছর আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে একই নদী ভাঙন।

এ বছর বর্ষার প্রথম থেকেই নড়িয়া উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর বৈশাখীপাড়া, ঢালীবাড়ি মসজিদ, নড়িয়া ব্রিজের দুই পাশসহ পাঁচটি পয়েন্টে, ঘড়িসার বাংলা বাজার এলাকায় তিনটি পয়েন্টে, সুরেশ্বর দরবার শরীফের স্থায়ী বাঁধের দুইটি পয়েন্টে ধসে পরে। এছাড়া চরআত্রা ইউনিয়নের চর এলাকায় একতলা ও দোতলা বিশিষ্ট দুইটি ভবনসহ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মসজিদ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও একটি মসজিদ। তাছাড়া আরও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে সদর উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর কোটাপাড়া, মুন্সীর হাট, ভেদরগঞ্জ উপজেলা গাজীপুর, তারাবুনিয়া, কাচিকাটাসহ ১১টি পয়েন্টে, গোসাইরহাট উপজেলার আলালপুর এলাকায় ডামুড্যা-সুরেশ্বর নদীর চারটা পয়েন্টে, জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাটের জিরো পয়েন্টে, পদ্মা সেতুর রক্ষা বাঁধে, বড় কান্দি গ্রামে নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। দূর্গার হাট ও কুন্ডের চর ইউনিয়নের সিডার চর এলাকায় অব্যাহত ভাঙনে হুমকিতে আছে করপাড়া গুচ্ছগ্রাম শত শত পরিবার। তবে ভাঙন রোধে সর্ব শক্তি নিয়োগ করে জিও ব্যাগ ডামপিংসহ সব ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সবুজ বলেন, আমাদের এই পদ্মার চরাঞ্চলে কোনও দিন বিদ্যুৎ আসবে বা বেড়িবাঁধ হবে তা আমরা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু আমাদের এই চরাঞ্চলের ছেলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী সেই স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছেন এবং তা বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। তার বদৌলতে আমাদের এখানে বিদ্যুৎও আসছে এবং বেড়িবাঁধের কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের কপাল খারাপ স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার আগেই এবার বর্ষায় গত কয়েকদিন যাবত শুরু হয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।