বেইলি রোডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বাহাউদ্দিন নাছিম
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছেন এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম নিজে উপস্থিত থেকে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। পাশাপাশি অংশ নিয়েছে আনসার, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এদের মধ্যে ১৫ জন নারীও রয়েছেন। পাশাপাশি আহত ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাসা থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার
ফ্ল্যাটে পড়ে ছিল বাবা-ছেলের মরদেহ। খবর পয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে। এ ঘটনা ঘটে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকায়।
নিহতরা হচ্ছেন বাবা মশিউর (৫০) ও তার ছেলে সাহদাবের (১৬)।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে থানা পুলিশ জানায়, দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সুরতহাল শেষে তা সোহরাওয়ার্দী মর্গে পাঠানো হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মশিউর শেয়ারের ব্যবসা করতেন। আর ছেলে সাহদাব উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশুনা করতো।
হোটেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মরদেহ
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যার পর হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ছেলেকে হত্যার পর প্রকৌশলীর আত্মহত্যা, নেপথ্যে যা জানা গেল
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বাসা থেকে এক প্রকৌশলী ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মরদেহের পাশ থেকে ‘ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকৌশলীর স্ত্রী ও স্বজনরা জানান, জমি কিনে প্রতারিত ও শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মশিউর রহমান ও তার ছেলে মোদাব্বির হোসেনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ মর্গে রাখা রয়েছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। একই সময় আহত অবস্থায় প্রকৌশলীর মেয়ে সিনথিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি বাসায় ছিলেন না। তিনি শিক্ষার্থী পড়ানোর জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। পরিবার নিয়ে আগারগাঁও তালতলার মোল্লাপাড়ার একটি বাসার দোতলায় ভাড়া থাকতেন। মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যান কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সাদাবের। সিনথিয়া শেরেবাংলা নগরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন। চিরকুটটি মশিউরের লেখা হতে পারে। এর পরও সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্বজনরা বলছেন, মশিউর একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করতেন। পাঁচ-ছয় বছর আগে চাকরি ছেড়ে শেয়ার বাজারে ব্যবসায় লাগেন। এতে আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, কয়েক বছর আগে দক্ষিণখান এলাকায় রতন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চার শতকের মতো জমি কেনেন তিনি। তবে পরবর্তীতে জানতে পারেন, জমির দলিল ভুয়া। রতন ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন। কিন্তু সেই টাকা দিচ্ছি-দেব করে ঘুরাতে থাকেন। কিছুদিন ধরে রতন মশিউরের ফোনও রিসিভ করছিলেন না। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। হতাশা থেকেই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি জানান, ‘পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া ও ব্যবসায় মন্দা যাওয়ায় আর্থিক অনটনে ছিলাম আমরা। আমার টিউশনির টাকা দিয়ে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসারের ব্যয় বহন করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ কারণে আমার স্বামী হতাশায় ছিলেন। অভাব-অনটনের কারণে হতাশা থেকেই হয়তো ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। মেয়েকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’
তিনি জানান, ‘তার স্বামী আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি লেভেলে ব্যবসা করতেন। তবে সেখান থেকে খুব একটা আয় হতো না। গত এক সপ্তাহ থেকে ওই ব্যবসার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এছাড়া তার স্বামী পাঁচ–ছয় বছর আগে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে প্রতারিত হন। সেই টাকা তিন–চার বছর ধরে দিচ্ছি দেব বলে ঘোরানো হচ্ছে তাদের। সংসারের খরচ জোগান দিতে তিনি চারটি টিউশনি করেন।’
ডলি বলেন, ‘টিউশনি থেকে মাসে আয় হয় আট হাজার টাকা। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাসা থেকে টিউশনি করার জন্য বের হই। এ সময় দুই সন্তান ও স্বামী বাসায় ছিলেন। টিউশনি শেষ করে পৌনে ৪টার দিকে বাসায় এসে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে দরজা ভেঙে দেখি ঘরের এক রুমে মেয়েটা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আরেক রুমে খাটের ওপরে ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই রুমের সিলিং ফেনের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মশিউর। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আর মেয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে শ্যামলী ডক্টরস কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগানস্টিক সেন্টারের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।’
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি / শর্টসার্কিটের আগুন ছড়ায় জমে থাকা গ্যাসে
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।
ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা ‘চা চুমুক’ কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।
তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।
ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।
আগুন নেভাতে টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস
অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পৌঁছাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি।
আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেয়া উচিত নয়। ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।
ডেকে এনে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ ফেলা হলো পুকুরে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে কৌশলে পল্লবী এলাকায় ডেকে এনে পাভেল খান নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
রেববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবী সুখনগরে একটি পুকুর থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পাভেল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার শায়েস্তা খানের ছেলে। তিনি বাড্ডার পাঁচতলাবাজার এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন বাসচালকের সহকারী হিসেবে। তার নামে থানায় একাধিক মামলা আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, খুন করার জন্যই পাভেলকে কৌশলে বাড্ডা থেকে পল্লবী এলাকায় ডেকে আনা হয়। পরে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানা একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
হাতিরঝিলে ভাসমান সেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর হাতিরঝিলের লেকে থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ফারদিন (২৩)। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর শাহজাহানপুরে থাকতেন।
ফাইয়াজের বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ২০২১ সাল থেকে ফারদিন মানসিক রোগে ভুগছিল। রোববার রাতে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বহুবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, এদিন সকালে হাতিরঝিল রামপুরা ব্রিজের নিচে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পথচারীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার এসআই ফুল কুমার বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।