উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সেন্ট মার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে হঠাৎ সংকেত বেড়ে যাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত যাপনের জন্য থেকে যান।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরও জানান, দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানিমুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে। পরিষদের সবাই সর্বক্ষণ খোঁজ খবর নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
চেয়ারম্যান আরও জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলেও আটকা পড়া পর্যটকদের বিচলিত হবার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের এসব উঁচু ভবনে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করব।
তিতাস গ্যাস এলাকার ডা. আব্দুর রউফ জানান, হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পড়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ফলে আটকে পড়তে হয় সেন্টমার্টিনে। নিরাপদে ফেরার জন্য তিনিসহ তার পরিবার উদগ্রীব হয়ে আছেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় নাজিরারটেক, পেকুয়ার মগনামা, কুতুবদিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকা, মহেশখালীর নিচু এলাকা, সদরের পোকখালীসহ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। সংকেত ক্রমে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন